অর্থনীতি

অর্থনীতি সমিতির ১৪ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব

করোনার মহাবিপর্যয় থেকে মুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। যা বর্তমান বাজেটের ২.৪৭ গুণ বেশি।

বাজেট উপস্থাপনে বলা হয়, দ্রুত সম্প্রসারণশীল ঘোষিত বাজেটের ৯১ শতাংশ আসবে রাজস্ব খাত।  সমিতি রাজস্ব খাত থেকে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয় হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সংগ্রহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ জুন) ভিডিও কনফারেন্সে আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।  বিকল্প বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আবুল বারাকাত বলেন, মহামন্দাকালীন সময়ে আয় বৈষম্য হ্রাসের ওপর জোর দিতে হবে।  দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় শুধু ২০২০-২০২১ বাজেটে নয় আগামী ৫ বছরের বাজেটে নীতি নির্ধারকদের সমাজ থেকে চার ধরনের বৈষম্য হ্রাস করতে কাজ করতে হবে।  এর মধ্যে রয়েছে আয়, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত।

তিনি বলেন, ধনীদের সম্পদ পুনর্বন্টন করতে বেশি বেশি সম্পদ কর থাকবে। অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর আরোপ করতে হবে।  বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনোরুদ্ধার ও কলো টাকার উদ্ধারে জোর  তৎপরতা থাকতে হবে।

বাজেটে রাজস্ব খাতের বাইরে যে এক কোটি ৩৫ লাখ কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে বন্ড বাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৪০ হাজার টাকা, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর মাধ্যমে ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করাসহ মোট ২১টি নতুন খাতের প্রস্তাবনা দিয়েছেন আবুল বারকাত।

তবে বাজেটের ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণ এবং ব্যাংক থেকে ঋণ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওই অর্থনীতিবিদ।

এছাড়া এক পরিসংখ্যানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় লকডাউনের ৬৬ দিনে বাংলাদেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হওয়ার তথ্য উপস্থাপন করেন তিনি।

প্রস্তাবনার শুরুতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ভিডিও কনফারেন্সটি অর্থনীতি সমিতির নিজস্ব ফেজবুক পেজ থেকে সরাসরি প্রচার করা হয়। এম এ রহমান/সাইফ