চূড়ান্ত বাজেটে ব্রোকারেজ হাউজের শেয়ার লেনদেনের ওপর ধার্য করা অগ্রিম আয়কর ০.০৫ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের শীর্ষ সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকালে ডিবিএ’র সেক্রেটারি দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যাওয়ায় শুধুমাত্র কমিশন আয়ের ওপর নির্ভরশীল ব্রোকারেজ হাউজগুলো ক্রমাগত লোকসান গুণছে। ফলে তাদের অফিস পরিচালন ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অনেক শাখা অফিস ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। আরও অনেক শাখা অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে ব্রোকারদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ এর ফলে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা ব্রোকারেজ হাউজের এরকম সংকট আরও চরমে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জড়িত। পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নে ব্রোকারদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা শেয়ার লেনদেনের ওপর বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর ০.০৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.০১৫ শতাংশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ জানিয়েছি। ব্রোকারদের সামগ্রিক পরিস্থিতি তথা কোভিড-১৯ এর ফলে আগামীদিনে ব্যবসায় বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা বিবেচনা করে বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর কমানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ প্রসঙ্গে শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, চূড়ান্ত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ৩ (তিন) বছরের লক-ইন এর শর্ত প্রত্যাহার চাচ্ছি। একইসঙ্গে কর হার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। এর ফলে বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানি থেকে দেওয়া ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) আয়ের করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ লাখ টাকা করা এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও ২.৫ শতাংশ কর হ্রাস করার দাবি জানাচ্ছি। এর ফলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িকভাবে আরও সক্রিয় ও সমৃদ্ধ হবে। এতে প্রত্যক্ষভাবে পুঁজিবাজারের জন্য, বিনিয়োগকারীর জন্যে তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুফল বয়ে আনবে।
ঢাকা/এনটি/এসএম