অর্থনীতি

‘করোনার প্রভাব মূল্যায়নের সময় এখনও আসেনি’

মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে কী পরিমাণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার সময় এখনও হয়নি বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ।

রোববার (২১ জুন) ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটি এক ত্রৈমাসিক বুলেটিনে এ কথা বলেছে।

আইসিসির বুলেটিনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়, যেহেতু পরিস্থিতি প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলার সময় এটি নয়। তবে এখন অর্থনৈতিক অনুমানগুলো কেবল প্রভাবের মাত্রা দিতে পারে। প্রকৃত চিত্র  প্রাদুর্ভাবের সময়ের বিস্তার, এর স্থায়িত্বকাল এবং নীতি নির্ধারকরা কীভাবে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করতে পদক্ষেপ নিতে পারবেন তার ওপর নির্ভর করবে।

তবে এর ফলে নিন্মআয়ের এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর বিপদজনক অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে। একইসঙ্গে উন্নত অর্থনীতিগুলো মন্দায়, আক্রান্তের ফলে পণ্যের দাম হ্রাস পাবে এবং এই দেশগুলোর রফতানি আয়ের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে।

আইসিসি আশঙ্কা করছে, এই মহামারির মেয়াদ দীর্ঘায়িত হলে ব্যাপক বেকারত্বের সৃষ্টি হতে পারে ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। কিছু শিল্প, যেমন-পর্যটন এবং উড়োজাহাজ, অবশ্যই সমস্যার মুখোমুখি হবে।  মহামারিটি এমন এক ঝুঁকির তৈরি করেছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

আইসিসি জানায়, কোভিড-১৯ হচ্ছে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট এবং বৃহত্তম অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, যা বিশ্ববাসী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯১৮ এর স্প্যানিশ ফ্লু এর সময় মোকাবিলা করেছিল।  যার স্থায়িত্ব ছিল টানা ১৫ মাস।  এতে ৫০০ মিলিয়ন মানুষ সংক্রামিত হয়েছিল এবং ৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল, যা তৎকালীন বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ ছিল।

বুলেটিনে আরও জানায়, কোভিড-১৯ একদিকে যেমন বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করেছে অন্যদিকে তেমনি বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার হুমকি। অনেক উন্নত দেশই অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে জরুরি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কোভিড-১৯ এ কতজন আক্রান্ত হয়েছে শুধুমাত্র এটাই বিবেচ্য বিষয় নয়।  এর ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাটাও জরুরি। ঢাকা/শাহ আলম খান/জেডআর