অর্থনীতি

১১ কেজি স্বর্ণ আমদানি করলো ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড

নীতিমালার অধীন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে দেশে প্রথমবার আমদানি হলো ১১ কেজি স্বর্ণ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ শিল্প ও জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমাদের অনেক দিনের দাবির বাস্তবায়ন শুরু হলো।  দেশের জুয়েলারি ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায়।  আমার বিশ্বাস এ শিল্পে আমাদের যে ঐতিহ্য ও সক্ষমতা রয়েছে, তাতে আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যে নেতৃত্ব দিতে পারবো।

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড বলছে, গত ১০ জুন তারা গোল্ড ডিলারশিপের অনুকূলে ১১ হাজার গ্রাম (১১ কেজি) পাকা স্বর্ণ আমদানির জন্য আবেদন করে।  আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তি দিলে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড স্বর্ণের প্রথম চালানটি আনে।  যা দেশের ইতিহাসে প্রথম আনুষ্ঠানিক আমদানির ঘটনা। 

দেশে বছরে ২০-৪০ টন স্বর্ণ প্রয়োজন, যার বড় অংশ আসে বিদেশ ফেরত বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছ থেকে।  আবার কিছুটা পুরনো স্বর্ণ গলিয়ে সংগ্রহ করা হয়। 

দেশে স্বর্ণের ব্যবসায় স্বচ্ছতা আনতে দীর্ঘদিন ধরে নীতিমালা করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা।  পরে নীতিমালা চূড়ান্ত হয়।

২০১৯ সালের জুনে জারি করা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতি ভরি স্বর্ণে আয়কর হবে ১ হাজার টাকা, হীরার ক্ষেত্রে যা ৬ হাজার ও রূপায় ৫০ টাকা।  ২০১৯ সালের জুন শেষে এনবিআর স্বর্ণ বৈধ করার মাধ্যমে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা কর পায়।  সাদা হয় প্রায় ১৮ লাখ ভরি স্বর্ণ।  হীরা ও রূপায় কর পাওয়া যায় প্রায় ৩ কোটি টাকা।  স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ নেন প্রায় ৫ হাজার ব্যবসায়ী।

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির দাবিতে স্বর্ণ আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) তুলে নেওয়া হয়।

 

ঢাকা/ এম এ রহমান/জেডআর