অর্থনীতি

পাইকারিতে কমলেও খুচরায় চড়া সবজির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে এর প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে।

পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি বেশি হওয়ায় সবজির দাম কমেছে।  আর খুচরা বিক্রেতাদের ভাষ্য, বাজারে সবজি নেই। তাই দামও চড়া। এ অবস্থায় বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (০৩ জুলাই) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, কাজলা, রায়েরবাগ, দনিয়া, বউবাজার এলাকা ঘুরে বাজারের এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙা, ধুন্দুল, করলা, কচুরছড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়।  এ সপ্তাহে তা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  কিন্তু খুচরা বাজারে তা আগের মতোই ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  পাইকারিতে কেজিতে ২০ টাকা কমে বরবটি ৫০ টাকা বিক্রি হলেও খুচরায় তা আগের মতো ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  পাইকারিতে গত সপ্তাহের ৪০ টাকার ঢেঁড়শ-লতি এ সপ্তাহে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরায় আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।  কেজিতে ১০ টাকা কমে এ সপ্তাহে টমেটো ৯০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা আগের দামে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।  পণ্যটি পাইকারি বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও খুচরায় তা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচাকলার হালি ২৫ টাকা, কলার মোচা ২৫ টাকা, কচু প্রতি পিস (আকারভেদে) ২০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ-জালি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কুমড়া আকারভেদে ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  শাপলা-ডাটা শাক-পুঁইশাক ২০ টাকা আঁটি, পালং শাক ২০ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা, লাল শাক-সবুজশাক ১০ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ীতে কথা হয় পাইকারি বিক্রেতা মো. সুমনের সঙ্গে।  তিনি জানান, সরবরাহ কম থাকলে সবজির দাম বাড়ে।  আজকে আমদানি বেশি তাই দামও কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

তবে ভিন্ন বক্তব্য একই এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানের। তিনি বলেন, বাজারে সবজি নেই।  তাই দাম বেশি। 

যাত্রাবাড়ীতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. ওহিদের সঙ্গে।  তিনি জানান, ধোলাইপাড় বাজার থেকে নিয়মিত বাজার করি।  এখানে সবজির দাম অনেক বেশি।  বিক্রেতারা ইচ্ছেমত সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়।  এ অবস্থায় বাজার তদারকির দাবি জানান তিনি।

এদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে পোল্ট্রি ও দেশি মুরগির দাম।  ১০ টাকা কমে পোল্ট্রি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, ৫০ টাকা কমে দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, লেয়ার আগের দামেই ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৮০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

রুই মাছ আকারভেদে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ৩৬০ টাকা, প্রতিকেজি শিং বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, পাবদা ২৮০-৩৫০০ টাকা, মৃগেল ১৮০-২২০ টাকা, পাঙাস ১০০-১১০ টাকা, কই ১২০-১৪০ টাকা, পুঁটি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আদা ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।  প্রতিডজন লাল ডিম (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা/মামুন/জেডআর