অর্থনীতি

মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকা করে পেলেন দুই ক্রেতা

চলছে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭।  এর আওতায় দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের রেফ্রিজারেটর কিনে এক লাখ টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন দুই ক্রেতা।

তারা হলেন- কিশোরগঞ্জের কৃষক সোলতান উদ্দিন এবং ময়মনসিংহের গৃহিণী সুফিয়া খাতুন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আবারও লাখপতি হওয়ার সুযোগ নিয়ে এসেছে মার্সেল। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে এ সুযোগ।  এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।  গত ৮ জুন শুরু হওয়া এ সুযোগ থাকছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।

জানা গেছে, গত ২১ জুন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় মার্সেলের শোরুম রাসেল ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স থেকে ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকা পান সোলতান উদ্দিন। আর ১১ জুন গৌরিপুর উপজেলায় মার্সেলের শোরুম খান মটরস অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স থেকে ফ্রিজ কিনে লাখপতি হন সুফিয়া খাতুন।

মার্সেল ফ্রিজের ক্রেতা সোলতান উদ্দিনের হাতে এক লাখ টাকার ডামি চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে

২৪ জুন সোলতান উদ্দিনের হাতে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক উজ্জল কুমার সরকার, মার্সেলের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মারুফ রায়হান, অ্যারিয়া ম্যানেজার আতাউর রহমান এবং শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী আবু জাফর রাসেল প্রমুখ।

সোলতান উদ্দিন জানান, তার বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার চর বিশ্বনাথপুর গ্রামে। চার ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে তার। বড় পরিবার হওয়ায় মার্সেলের ৩৬৫ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি।  এরপর নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মোবাইলে এক লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। ওই টাকার বিপরীতে মার্সেল শোরুম থেকে তিনি একটি এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টিভি, ওয়াটার ফিল্টার, সিলিং ফ্যান এবং ইন্ডাকশন কুকারসহ মোট দশটি পণ্য কিনেছেন।

এর আগে ২২ জুন সুফিয়া খাতুনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার তুলে দেওয়া হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন খান মটরস অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী আইয়ুব খান, রানা ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রহিম এবং মার্সেলের ময়মনসিংহ জোনের অ্যারিয়া ম্যানেজার মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

সুফিয়া খাতুন জানান, তার বাড়ি গৌরিপুর উপজেলার ঝলমলা গ্রামে। এক মেয়েসহ তিন সদস্যের পরিবার তার।  স্বামী আ. হামিদ কৃষিকাজ করেন। কষ্ট করে টাকা জমিয়ে মার্সেলের ফ্রিজটি কেনেন তিনি।  মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা ওই ফ্রিজে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। যা দিয়ে একই শোরুম থেকে আরও চারটি ফ্রিজ কিনেছেন।  ফ্রিজগুলো ভাই-বোনসহ আত্মীয়দের উপহার দেন সুফিয়া।

জানা গেছে, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল।  এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।  ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ ক্রেতাদের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দিচ্ছে মার্সেল।

সূত্র জানায়, স্থানীয় বাজারে মার্সেলের রয়েছে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৬৪,৯০০ টাকার মধ্যে।  নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি মার্সেল ফ্রিজ ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।  এসবের মধ্যে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস-ডোর, ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রস্ট ও সাইড-বাই-সাইড গ্লাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর।  এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে।  মার্সেলের ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত-ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মার্সেলের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

সর্বোচ্চ গুণগতমানের আত্মবিশ্বাসে মার্সেল ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে মার্সেলের রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।

 

ঢাকা/জেডআর