অর্থনীতি

‘করোনা পরবর্তী রপ্তানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণে কাজ করতে হবে’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে পরিবর্তিত বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে।  এ সুযোগকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য রাষ্ট্রদূতদেরকে গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে।  

দূতাবাসগুলোকে এ বিষয়ে কাজ করার নিদের্শনাও দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

রোববার (০৯ আগস্ট) ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি, কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসিক এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব, কুয়েত এবং উজবেকিস্তান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। এখানে বাংলাদেশি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে হবে।  বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।  বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।  এগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে।   

রাশিয়া একটি বড় বাজার, এ বাজারে প্রবেশ করতে আমরা কাজ করছি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য উজবেকিস্তান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজবেকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী বলেও জানান মন্ত্রী।

গত অর্থবছরে সৌদি আরবে রপ্তানি হয়েছে ২৬২.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৭৯৬.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কুয়েতে রপ্তানি হয়েছে ২৩.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩৮২.১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য। উজবেকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে ১৯.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।