অর্থনীতি

থোক বরাদ্দ থেকে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা

এখন থেকে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থোক বরাদ্দ থেকে পরিশোধ করা যাবে। এই বিষয়ে  বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব লিজা খাজার স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এই তথ‌্য জানানো হয়েছে। 

পরিপত্রে বলা হয়েছে, করোনার কারণে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কৃচ্ছ্রসাধন নীতি অবলম্বন করছে। এ কারণে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর তহবিল বিতরণ স্থগিত হওয়ার কারণে প্রকল্পগুলোর  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

এতে আরও বলা হয়েছে, বিশেষ প্রয়োজনে  ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটের থোক বরাদ্দ আলাদা করা হয়েছে।  ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত চলমান প্রকল্পগুলোর  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে দেওয়া যেতে পারে।

এদিকে, বাজেটের পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, থোক বরাদ্দের বেশির ভাগ অর্থ যদি প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ব্যয় করা হয়, তবে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ অন্যান্য  প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অর্থ সংকট দেখা দিতে পারে।  

স্থায়ী কমিটি যে সব পদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সুপারিশ করেছে, কেবল ওই পদগুলোর বেতন ও ভাতা পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে অভিমত দিয়েছে অর্থ বিভাগ। তবে, কেস-টু-কেস  ভিত্তিতে এই বিষয়গুলো পরীক্ষা করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনুসারে বেতন-ভাতা দিতে হবে।

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থোক বরাদ্দ থেকে সমাপ্ত এবং চলমান প্রকল্পগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  বেতন পরিশোধের সুপারিশ করা করেছে।’ এই ব্যবস্থা প্রচলিত নিয়মের বিচ্যুতি হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতির কারণে বরাদ্দের অর্থ প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য থোক বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাজেট শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’

এর আগে, সরকার করোনভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়লে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।  এরই অংশ হিসেবে ৪৬০ টি প্রকল্পের তহবিল বিতরণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।