অর্থনীতি

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে বিদেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা

দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করছেন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা। সম্ভাবনাময় রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উৎপাদন প্রক্রিয়া ও পণ্যের মান সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন ও প্রশিক্ষণ নিতে ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করছেন তারা। এ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কমার্সিয়াল কাউন্সিলররা বিশ্বের সম্ভবনাময় দেশগুলোতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত প্রযুক্তিপণ্যের প্রমোশনাল ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নতুন রপ্তানিবাজার সৃষ্টি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের চেষ্টা চালাবেন।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে আসেন অতিথিরা। তাদের মধ্যে আছেন লসএঞ্জেলস (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ব্রাসেলস (বেলজিয়াম), কুনমিং (চীন), সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া), তেহরান (ইরান) এবং ইয়াংগুনে (মিয়ানমার) নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলর।

সকালে অতিথিরা ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইউসুফ আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম, অ্যাকটিং হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইয়াসির আল ইমরান, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আব্দুর রউফ, সিনিয়র অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।

অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর তারা ওয়ালটনের বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যাবেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, এসএমটি প্রোডাকশন, পিসিবি, কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখবেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন একটি প্রশংসিত নাম। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৭৫০ একরেরও বেশি জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা। এখানে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, লিফটসহ বিভিন্ন উচ্চ মানের পণ্য তৈরি হচ্ছে।

উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ গড়ে তোলা হয়েছে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ওয়ালটনের লক্ষ‌্য—বিশ্বের সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়া। সে লক্ষ্য পূরণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য, উচ্চ মান ও প্রতিযোগীমূল্য সক্ষমতা দিয়ে দ্রুত জয় করছে বিশ্ব ক্রেতাদের আস্থা। বাড়ছে রপ্তানি। ওয়ালটন তথা বাংলাদেশে তৈরি প্রযুক্তিপণ্যের রপ্তানিবাজার দ্রুত সম্প্রসারণে এবার কর্মাসিয়াল কাউন্সিলরদের সহযোগিতা আরো বাড়বে।