অর্থনীতি

রাজস্ব ঘাটতি পূরণে শুল্ক-ভ্যাট বিভাগের জরুরি সভা

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রাজস্ব ঘাটতি পূরণের কৌশল নির্ধারণে জরুরি সভা ডেকেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক, আবগারী ও ভ্যাট অনুবিভাগ।

আগামী ২১ অক্টোবর বিকেলে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে ওই ভার্চুয়াল সভা হবে। শুল্ক ও ভ্যাট অনুবিভাগের সব সদস্য এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সব কমিশনার ও মহাপরিচালকদের অনলাইনে সভায় অংশ নিতে বলা হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর এনবিআর সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলামের সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, শুল্ক, আবগারী ও ভ্যাট অনুবিভাগের সেপ্টেম্বর মাসের রাজস্ব আহরণের অগ্রগতি এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কর্মকৌশল পর্যালোচনা করতে আগামী ২১ অক্টোবর বিকেল আড়াইটায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে জরুরি সভা হবে। সভায় শুল্ক ও ভ্যাট অনুবিভাগের সব সদস্য এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সব কমিশনার ও মহাপরিচালকদের যথাসময়ে নিজ নিজ অফিসে থেকে অনলাইনের মাধ‌্যমে সভায় অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতির দিকে যাচ্ছে এনবিআর। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সেপ্টেম্বরের রাজস্ব আদায়ও সন্তোষজনক নয় বলে জানা গেছে।

প্রথম দুই মাসে ৩০ হাজার ১৬২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ৯৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১০ হাজার ৭৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায় লক্ষ্যের চেয়ে ২৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম হয়েছে। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আদায় বেড়েছে মাত্র দশমিক শূন্য ১৬ শতাংশ।

এরমধ্যে জুলাই-আগস্ট সময়ে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক-কর থেকে ১৫ হাজার ৪৬২ কোটি ৬০ লাখ টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট থেকে ১৫ হাজার ৪৬৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১০ হাজার ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকা আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এনবিআরের তথ্য অনুসারে, ভ্যাট থেকে ১১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭০ লাখ, আয়কর ও ভ্রমণ থেকে ৮ হাজার ৮০২ কোটি ৫৪ লাখ এবং আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে ১০ হাজার ৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এছাড়া, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।