অর্থনীতি

হালাল পণ্যের রপ্তানি বাজার দখলের সময় এসেছে: বাণিজ্য সচিব

বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। দিনদিন এ বাজার বড় হচ্ছে। আমাদের সুযোগ এসেছে হালাল পণ্যের রপ্তানি বাজার দখল করার। আমাদের হালাল পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা রয়েছে, এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

বুধবার (১১ নভেম্বর) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘হালাল পণ্যসহ সব পণ্যের সার্টিফিকেশন সক্ষমতা ও হালাল পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুমানা হক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং এখাতে ব্যবসায়ী নেতারা বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত দেন। কর্মশালায় বেশ কিছু সুপারিশ নেওয়া হয়।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। তখন রপ্তানি বাণিজ্যে জিএসপি সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকবে না, রপ্তানির জন্য এটা আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য নতুন রপ্তানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। হালাল পণ্যসহ সব পণ্যের সার্টিফিকেশন সক্ষমতা অর্জন ও রপ্তানি বাড়াতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর নিদের্শনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সবাই সচেষ্ট হলে আমাদের বর্তমান রপ্তানি দশগুণ বাড়ানো সম্ভব।

ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গেলে আমরা হালাল পণ্যের বিশ্ববাজারে বড় অবদান রাখতে পারবো। আমাদের এজন্য করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। অনেক দেশ হালাল সার্টিফিকেশন অথরিটি গঠন করে কাজ করছে। আমাদেরও এসব দেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ আছে।