রাজধানীতে শীত বাড়ছে। এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শীতের পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড়ও বেড়েছে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
জুতা কিনতে আসা মামুন হোসেন বলেন, এখন শীত পড়ে গেছে। সামনে আরও শীতের তীব্রতা বাড়বে। তাই জুতা কিনতে আসছি। করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের এত ভিড় যে ফুটপাতে হাঁটা যাচ্ছে না। কেউই এই দৃশ্য দেখলে বলবে না যে বাংলাদেশ করোনা বলে কিছু আছে।
শীতের পোশাক বিক্রেতা রবিউল বলেন, বেচাকেনা আগের চেয়ে ভালো। কিছুদিন ছুটির দিনে কাস্টমারদের বেশি ভিড় থাকে। করোনার কারণে কিছুদিন আগে মার্কেট একদম ফাঁকা গেছে। এখন বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।
দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় ছুটির দিনে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি থাকে অনেক বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতে বেচা-কেনার পরিমাণ বাড়ে। শীত জাঁকিয়ে না বসলেও শীতবস্ত্রসহ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ছুটির দিনে মার্কেটগুলোতে রীতিমতো ধুম পড়ে যায়।
মিরপুরের গুদারাঘাট এলাকা থেকে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে আসেন মাহফুজ রহমান। তিনি বলেন, শীত চলে আসায় ছুটির দিনে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে আসছি।
করোনা ভাইরাসের কথা বললে তিনি বলেন, মার্কেটে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কিন্তু এমন করে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলার কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। যারা বের হচ্ছেন তাদের কেউ কেউ অজান্তেই সংক্রমিত হতে পারেন।