অর্থনীতি

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ৫ বছর বাণিজ্যসুবিধা চায় বাংলাদেশ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ সুইডেনের কাছ থেকে রুলস অব অরিজিনের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় এবং ডিউটি ফ্রি বাণিজ্যসুবিধা পাচ্ছে। এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশনের পর আরও পাঁচ বছর সুইডেনের কাছ থেকে বাণিজ্যসুবিধা প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।’

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার বার্গ ভন লিন্ডের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাণিজ‌্যমন্ত্রী। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান, এ এইচ এম আহসান এবং যুগ্ম সচিব(রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। 

বাণিজ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুইডেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ আছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে (বিটুবি) সফর বিনিময় এবং আলোচনার মাধ্যমে এ সুযোগকে কাজে লাগানোর সুযোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করছে। সুইডেন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, চিংড়ি ও হিমায়িত মাছ, সিরামিক, আইসিটি পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প পণ্য এবং প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করতে পারে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেকোনো জটিলতা নিরসনে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন, কোরিয়া, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। এ অঞ্চল পণ্যের একটি বড় বাজার। সুইডেনের বিনিয়োগকারীরা ইকনোমিক জোনে পোশাক, অ‌্যাগ্রো প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক‌্যাল, সিরামিক, এনার্জি এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন,’ বলেন টিপু মুনশি।

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার বার্গ ভন লিনডি বলেন, ‘বাণিজ্য ক্ষেত্রে সুইডেন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিযোগ বাড়াতে আগ্রহী সুইডেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা করা প্রয়োজন। এজন্য সুইডেনের ন্যাশনাল বোর্ড অব ট্রেড আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে।’

উল্লেখ্য, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ সুইডেনে রপ্তানি করেছে ৬৯৬.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ৭২.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। করোনার কারণে গত অর্থবছরে বাণিজ্যের পরিমাণ কম ছিল।