যেসব খাতে উৎসে কর কাটা হয়, সেখানে বিদ্যমান করহার আগামী বাজেটে কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরের পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘রিটার্ন ফরম পূরণ ও আয়কর’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এই ইঙ্গিত দেন।
এনবিআর সদস্য বলেন, উৎসে করহার কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী বাজেটে হয়তো এমন ঘোষণা আসতে পারে। অন্যদিকে কর ব্যবস্থপনাকে ডিজিটালাইজ করার অংশ হিসেবে অনলাইনে কর দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে যাচ্ছে আয়কর বিভাগ। এ লক্ষ্যে আগামী বছর রিটার্ন দাখিলে কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হতে পারে।’
আয়কর আইন, রিটার্ন ও আয়কর জমা পদ্ধতি সহজ হলে করের আওতা বাড়বে মন্তব্য করে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘করদাতাদের মধ্যে প্রাথমিক করভীতি কমবে। করদাতা নিজেই রিটার্ন পূরণ ও জমা দিতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জুনের মধ্যে নতুন আয়কর আইনের একটি ভিত্তি দাঁড়িয়ে যাবে। আইনটি বাংলায় সহজবোধ্যভাবে তৈরি হচ্ছে। এছাড়া কর ফাঁকি রোধে বিআরটিএসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভণ্ডারের সঙ্গে আয়কর বিভাগের যোগসূত্র স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা মাঠ পর্যায়ে কর ভীতির বিষয়টি তুলে ধরে তা নিরসনে এনবিআরকে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি কর আদায়সহ পুরো ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও স্বেচ্ছাাসেবী সংগঠন গোল্ডেন বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভি।