অর্থনীতি

পোশাকের নতুন বাজার খোঁজার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘করোনা মহামারি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বড় বড় ক্রেতাদের অর্ডার কমেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের আরএমজি খাতের জন্য নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ‘কোভিড-১৯ সংকট থেকে পোশাক খাতের পুনরুদ্ধার: একটি ভ্যালু চেইন-ভিত্তিক সমাধান কি সম্ভব’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডায়ালগে এসব কথা বলেন তিনি। যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), সাউদার্ন ভয়েস ও শ্রীলঙ্কার ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ (আইপিএস)।

সংলাপ সঞ্চালনা করেন সিপিডি‘র সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি পোশাকসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর জন্য প্রতিবেশী দেশসহ নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে, যা দেশের এই বৃহৎ খাতকে সংকট উত্তরণে সহায়তা করবে। পোশাক খাত করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে। তবে আমরা এখন দ্বিতীয় ধাক্কার প্রভাব অনুভব করতে শুরু করেছি। এ বিষয়ে সবার সজাগ থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারিতে যে লোকসান হয়েছে, সেগুলো পূরণে সরকার আরএমজি খাতকে আরও সহায়তা করতে প্রস্তুত। এ ক্ষেত্রে পোশাক শিল্প মালিক, শ্রমিক এবং ক্রেতাসহ সবার সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। সরকারি সহায়তা যাতে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হয়, সে বিষয়েও নজর দিতে হবে।’ 

সংলাপে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল‌্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারউইজ বলেন, ‘ডাচ সরকার বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের অর্ডার বাতিল না করতে দেশের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আশা করছি, ডাচ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যাবে। আশার বিষয় হচ্ছে, সরকারের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক সংস্থা সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করেছে এবং কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের পণ্য কিনছে। আমাদের সরকারও এ বিষয়ে অনেক ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে।’