দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক)’ ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। আগ্রহীদের ট্রেক পেতে আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডি-মিউলাইজেশন তথা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা সংক্রান্ত আইনে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের বাইরেও শেয়ার কেনা-বেচা করার সুযোগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর আওতায় কেউ ব্রোকারেজ সেবা দিতে চাইলে তাকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) নিতে হবে।
বিধি অনুসারে, ব্রোকারেজ দিতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদেরকেও ট্রেক লাইসেন্স নিতে হয়। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ও ট্রেকহোল্ডারের মধ্যে কিছু পার্থক্যও আছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ভোটাধিকার আছে। স্টক এক্সচেঞ্জ লভ্যাংশ ঘোষণা করলে তারা ওই লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। কিন্তু ট্রেকহোল্ডারের ভোটাধিকার ও লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার থাকবে না।
বর্তমান কমিশন গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০ এর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ২১ জানুয়ারি বিএসইসি এক চিঠিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে ট্রেক ইস্যু সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানানোর নির্দেশ দেয়। চিঠিতে এক্সচেঞ্জ দুটিকে পরিকল্পনা জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এরই আলোকে ডিএসই ট্রেক ইস্যু সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।