অর্থনীতি

গৃহঋণ পেতে যা করতে হবে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তাদের

বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যাংক থেকে গৃহ নির্মাণ ঋণ নিতে ইচ্ছুক, তাদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ঋণ নিতে হবে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। উপ-সচিব তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মিশনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জমি কেনাসহ বাড়ি নির্মাণ/ফ্ল্যাট কেনার জন‌্য ঋণ নিয়েছেন অথবা ভবিষ্যতে মিশনে থাকা অবস্থায় ঋণ নেবেন, তাদের বেতনের প্রাপ্যতা অনুযায়ী মূল বেতন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসার (সিএএফও) থেকে ইএফটি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কোনো তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। ঋণগ্রহীতাকে সংশ্লিষ্ট মিশনে সিএএফও, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অন্যান্য বৈদেশিক ভাতাদি প্রাপ্যতার পে স্লিপ ইস্যু করতে হবে।’

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী মিশনে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশে অবস্থিত নির্ধারিত তফসিলি ব্যাংকে গৃহ নির্মাণ ঋণের জন‌্য আবেদন করবেন, ঋণ মঞ্জুর হলে তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সিএএফও থেকে সরাসরি বেতন নেওয়ার আবেদন করতে হবে।’

ঋণগ্রহীতাকে যে ব্যাংকের আওতায় গৃহ নির্মাণ ঋণ মঞ্জুরি দেওয়া হবে, সে ব্যাংকের ইএফটি’র মাধ্যমে বেতনের অর্থ পাঠানোর জন্য ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে এবং অর্থ বিভাগের গৃহ নির্মাণ ঋণ কোষ থেকে ভর্তুকি পাঠানোর জন্য অনুমোদন নিতে হবে।

যেসব কর্মকর্তা/কর্মচারী ইতোমধ্যে গৃহ নির্মাণ ঋণ নিয়েছেন এবং বিদেশ বদলি হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিএইফও অফিস বেতন ছাড়া অন্যান্য প্রাপ্তির পে স্লিপ ইস্যু করবে। তবে সেক্ষেত্রে তারা মিশন থেকে মূল বেতন নিতে পারবেন না।

মিশনে কর্মরত যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ঋণ নিয়েছেন তাদের বেতন অনলাইনে ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের (ইবাস) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মিশনে সাবমিট করার পর ওই মিশনের ‘আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা’ (ডিডিও) সেটি সংশ্লিষ্ট সিএএফও অফিসে ফরোয়ার্ড করবেন।

সিএএফও অফিস সংশ্লিষ্ট মিশনের বাজেটের বিপরীতে প্রাপ্ত বিল পাস করার পর বাংলাদেশের স্থানীয় তফসিলি ব্যাংকে ইএফটি দেবে এবং ইএফটি’র তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার ই-মেইলে পাবেন। একইভাবে তার বেতন নির্ধারিত ব্যাংকে জমা হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডেবিট/ক্রেডিট সংক্রান্ত তথ্য ই-মেইলে তাদের পাঠাবেন।