দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় ধারাবাহিক লোকসানে রয়েছে শেয়ারবাজারে খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক। ফলে কোম্পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা হুমকির মুখে পড়েছে। এরপরেও কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা তাদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কোম্পানির ২০১৯-২০ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে, যা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (১ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানির নিরীক্ষক জানিয়েছে, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক তার সিস্টার কনসার্ন কোম্পানিতে ‘আনসিকিউরড লোন’ শিরোনামে ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু এই বিনিয়োগ থেকে আর্থিক কোনো সুবিধা নেই। এমনকি এই বিনিয়োগের বিপরীতে কোনো ডকুমেন্টস পাওয়া যায়নি।
তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অনেক বছর আগে ঘোষণা করা লভ্যাংশের ১৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অদাবিকৃত রয়েছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছে, মেঘনা কনডেন্সডের আর্থিক হিসাবে সুদজনিত ব্যয় হিসেবে ১০ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ৯ কোটি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার কোনো ব্যাংক স্টেটমেন্ট না পাওয়ায় সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যাংক ঋণ হিসেবে দেখিয়েছে। কিন্তু আপডেট ব্যাংক স্টেটমেন্ট না পাওয়ায় সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫০ শতাংশ মালিকানা।