অর্থনীতি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বিজিএমইএ’র ভোটগ্রহণ 

করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দিচ্ছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাধারণ সদস্যরা।

রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কার্যালয়ে একযোগে চলছে ভোট গ্রহণ।  ঢাকা অঞ্চলের ১ হাজার ৮৫৩ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪৬১ জন ভোটার ভোট দেবেন।

রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।  এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে বিরাজ করছে।  এরই মধ্যে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের নেতৃবৃন্দ।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক জানান, ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হচ্ছে।  নতুন বোর্ডের কাছে পণ্যের দাম বাড়ানোসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।  তাছাড়া বিজিএমইএর ভাবমূর্তির বিষয় আছে।  আশা করছি আগামীর বোর্ড এ খাতের উন্নয়নে আরও কাজ করবে।

নির্বাচনের শুরুতে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ নামের দুই প্যানেলের ৩৫ জন করে ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নিয়মনুযায়ী নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫ জন সদস্যের মধ্যে ২৬ জন ঢাকা অঞ্চল থেকে এবং ৯ জন চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হবেন। এর আগে (২০১৫ সালের পূর্বে) ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক ছিলেন ২০ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ছিলেন ৭ জন, মোট ২৭ জন।

নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড করোনা পরিস্থিতিসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে ভোট দেওয়ার সময় ৩ ঘণ্টা (সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত) বাড়িয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হাবিবুল্লাহ এন করিম জানান, ভোট দেওয়ার সময় সবাইকে মাস্ক পরতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি উদ্যোক্তাদের কাছে কমিটমেন্ট করেছি খাতের উন্নয়নে আগামী দুই বছর নিজেকে উৎসর্গ করব। বিজিএমইএ সদস্যরা আমাকে সে সুযোগ করে দেবে বলে বিশ্বাস করি। আমি আমার পূর্ণ প্যানেলসহ জয়লাভ করব।’

ফোরামের প্যানেল লিডার এ বি এম সামছুদ্দিন বলেন, ‘আমি কাজেই বিশ্বাসী।  পোশাকখাতের উন্নয়নে আরও কাজ করার আছে।  টেকসই পোশাক শিল্প গড়াই আমার লক্ষ্য।  সদস্যরা আমার পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করবে বলে আমার বিশ্বাস আছে।’

উল্লেখ‌্য, গত ১২ জানুয়ারি বিজিএমইএ’র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৪ এপ্রিল নির্বাচনের পর অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে ১০ এপ্রিল। নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন হবে ১৯ এপ্রিল। দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে ২০ এপ্রিল।