অর্থনীতি

মুরগি, গরুর মাংস ও চালের দাম বেড়েছে

ঈদের বাকি আছে আর ৫ দিন। রাজধানীতে লকডাউনের মধ‌্যেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। শনিবার (৮ মে) রাজধানীর হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মানুষজন ঈদের বাজার করছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মুরগি, গরুর মাংস ও চালের দাম বেড়েছে। তবে খাসির মাংসের দাম কমেছে কেজিতে ১০০ টাকা।

চিনি, সেমাই, দুধ, নারিকেল ও লেবুর দাম বেড়েছে। লাচ্ছা ও লম্বা সেমাই বিক্রি হচ্ছে প্রতি প্যাকেট ৩০ টাকা করে। একটি নারিকেলের দাম ১১০-১২০ টাকা। পোলাওয়ের চাল প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা। বুটের ডাল ৮০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে। লেয়ার মুরগির কেজি ২৩০-২৪০ টাকা। সোনালী মুরগির কেজি ২৮০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংসের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। ডিমের ডজন ৯০ টাকা।

চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতিতে ২-৩ টাকা। নাজিরশাইল ৬৮ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকা, আটাশ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তেল, ডাল, সব ধরনের মশলা এবং মাছের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৫, ২ লিটারের বোতল ২৬৫-২৬৮ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৬৩৫-৬৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় মশুর ডাল ৬৫ টাকা এবং দেশি মশুর ডাল ১০০ টাকা। পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি। চায়না আদা ১৪০ ও দেশি আদা ১০০ টাকা প্রতি কেজি। চায়না রসুন ১১৫-১২০ টাকা ও দেশি রসুন ৭৫-৮০ টাকা। সাদা চিনি ৬৮ টাকা ও লাল চিনি ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম আগের মতো আছে। প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, টমেটো ৫০, শসা ৫০, বেগুন ৫০, পটল ৪০, গাজর ৪০ ও কাচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা।

ফলের দাম বেড়েছে। আনারস বিক্রি হচ্ছে পিস ৩০-৪০ টাকায়। প্রতি পিস বাঙ্গি ৫০-৬০ টাকা। প্রতি কেজি মালটা ১৬০ টাকা, সবুজ আপেল ২২০ টাকা, আম ১০০ টাকা, তরমুজ আকার ভেদে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

প্রতি কেজি বড় চিংড়ি ৭০০, মাঝারি চিংড়ি ৫৫০-৬০০, ছোট চিংড়ি ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই ৩২০, কাতল ৩৫০, মলা ৪০০, কৈ ২২০, মাগুর ৫০০, শিং ৪০০, পাবদা ৪৫০, টেংরা ৬০০ এবং মাঝারি সাইজের বেলে মাছের কেজি ১ হাজার টাকা।