অর্থনীতি

বায়িং হাউজের অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব বিজিবির

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে টানা বিধি-নিষেধ। এর মধ্যেই শর্ত সাপেক্ষে কার্যক্রম চালাচ্ছে পোশাক শিল্প কল-কারখানা।  যদিও রপ্তানিতে এই খাত গত ৯ মাসে আয় কমেছে ৬ শতাংশ।  বিপর্যস্ত সময়ে রপ্তানিমুখী বস্ত্র খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনা দিচ্ছেন।  একই্  সময়ে ৮-১০ ভিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের গার্মেন্টস বায়িং হাউসগুলো কোন প্রণোদনা পায়নি। আপদকালীন সময়ে প্রতিযোগিতার টিকে থাকতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা নতুন অর্থবছর (২০২১-২২) অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবি)। এজন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে চিঠিও দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বাংলাদেশে গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, গার্মেন্ট মার্কেটিং বায়িং হাউজগুলোতে প্রায় চার লাখ লোক কাজ করছেন।  করোনা মহামারিতে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা থমকে গেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। নানান সমস্যার মধ্যদিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

তিনি জানান, গার্মেন্টস ব্যবসার বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও দেশে সুতার দাম বেড়েই যাচ্ছে।  আমাদের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর সরকার সুতার দাম বাড়ার কারণে তৈরি পোশাক পণ্যের মূল্যকে প্রতিযোগিতামূলক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করেছে।  ভারত সরকার ইতিমধ্যে প্রতি পাউন্ডে সুতার জন্য ২৫ রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে।

আমাদের দেশেও মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা বিগত বছর থেকেই দিচ্ছেন।  এজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, বলেন তিনি।

নতুন অর্থবছরে সরকারের নিকট তাদের প্রস্তাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের সুতার মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে গার্মেন্টেকে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিয়োগিতামূলক রাখার জন্য সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন।  অপরদিকে ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য বৈদেশিক ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিল এবং ক্ষেত্রবিশেষ হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য দিতে হচ্ছে।

তবে, ভ্যাকসিন কার্যক্রমের কারণে আগামী গ্রীষ্মে গার্মেন্টস পণ্যের বাজার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ভালো হবে বলে আশা করছি। এজন্য বায়িং হাউজ কর্মীদের ধরে রেখে আগামী গ্রীষ্মে গার্মেন্টস ব্যবসাকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বায়িং হাউজগুলোর সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটির সভাপতি ইফতেখার হোসাইন, বস্ত্র খাতের অন্যান্য খাতের পাশাপাশি বায়িং হাউজগুলোকে মহামারিতে প্রণোদনা হিসেবে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া প্রস্তাব করেন। যাতে গার্মেন্টস ব্যবসা অব্যাহত রেখে আগামী গ্রীষ্মকালীন সময়ে বৈশ্বিক বাজারে সক্রিয় থাকতে পারে খাতটি।