অর্থনীতি

ওয়ালটন ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রাম: গ্র্যান্ড ফিনালে শুরু 

শুরু হয়েছে ‘ওয়ালটন ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রাম (এফএলপি)- ২০২১’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে বা  চূড়ান্ত রাউন্ড।

ওয়ালটনের ‘ভিশন-গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের পথে ভবিষ্যৎ সৃজনশীল, মেধাবী ও তরুণ নেতৃত্ব বাছাইয়ের লক্ষ্যে ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামের এই উদ্যোগ। 

শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রাগ্রামের চূড়ান্ত রাউন্ড শুরু হয়েছে।

ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী ২৬ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিয়েছেন ১৪ জন। এদের মধ্যে থেকে বিজয়ীরা ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার পদে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট খ্যাত ওয়ালটনে নিয়োগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম ও আমিন খান, চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. ফিরোজ আলম, এয়ারকন্ডিশনার প্রোডাক্ট সিইও মো. তানভীর রহমান, রেফ্রিজারেটর প্রোডাক্ট সিইও আনিসুর রহমান মল্লিক, হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রোডাক্ট সিইও আল-ইমরান, ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর আনজুম ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মাশহারার ভূঁইয়া প্রমুখ। 

তানভীর আনজুম জানান, ওয়ালটন বিশ্বের অন্যতম সেরা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্য স্থির রয়েছে। ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ এর নাম দিয়েছেন ‘ভিশন- গো গ্লোবাল ২০৩০’। লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ সৃজনশীল, মেধাবী ও তরুণ নেতৃত্ব বাছাই ও নিয়োগ দিতে ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামের এই উদ্যোগ।

উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. মাশহারার ভূঁইয়া জানান, প্রার্থীদের কাছ থেকে গত এপ্রিল ও মে মাসে সিভি নেওয়া হয়। জমা পড়ে ২৬ হাজার সিভি । তিন রাউন্ডে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী লিখিত পরিক্ষা, কেস স্ট্যাডি ও গ্রুপ ডিসকাশন, ভাইবা ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় দুইশ প্রার্থীকে বাছাই করা হয়। তারা ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামের চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিয়েছেন। এরপর এই গ্রান্ড ফিনালে। 

সূত্রমতে, ‘ভিশন-গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনার সমন্বয়ে রোডম্যাপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এর মধ্যে রয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পরের বছর (২০২৩-২০২৪) রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার টার্গেট। সেজন্য ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস বাড়ানোর পাশাপাশি ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানফ্যাকচারার) হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডের নামে পণ্য তৈরির মাধ্যমেও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করছে ওয়ালটন। এছাড়া, বিশ্বের ছয় দেশে শাখা অফিস খোলার উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন। 

বর্তমানে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য , আফ্রিকা ও ইউরোপের প্রায় ৪০টি দেশে। এর মধ্যে ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইতালি, রোমানিয়াসহ মোট ১০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ‌্য।