অর্থনীতি

ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি কম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে কঠোর লকডাউন। এর মধ্যেই ব্যাংকগুলোতে সীমিত পরিসরে লেনদেন চলছে। তবে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাংকে যেতে পারছেন না অনেক গ্রাহক।

সোমবার (৫ জুলাই) ব‌্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল ও দিলকুশায় দিয়ে দেখা গেছে, ব‌্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপস্থিতি কম। তবে রাজধানীর অন‌্য এলাকাগুলোতে ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি ছিল।

সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমিত পরিসরে চলছে ব্যাংকের কার্যক্রম। অপরদিকে, মাসের শুরুতে গ্রাহকদের নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে। তাই, গ্রাহকরা ব্যাংকে আসছেন। তবে, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি কম। যারা আজ ব্যাংকে এসেছেন, তারা জরুরি প্রয়োজনেই লেনদেন করছেন।

ব‌্যাংক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রমে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া, এটিএম বুথ থেকে আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা তোলার সুবিধাও দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। ফলে, এটিএম বুথগুলো থেকে গ্রাহকরা সহজেই সেবা নিতে পারছেন। তবে, তুলনামূলক বড় অঙ্কের লেনদেনের জন্য গ্রাহকরা সরাসরি ব্যাংকে আসছেন। 

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ফরেন এক্সচেঞ্জ করপোরেট শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম কাউছার আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের কারণে আজ গ্রাহক উপস্থিতি অনেক কম। যারা আসছে তারা শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য বড় অঙ্কের লেনদেন করছেন।’

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দিচ্ছি। লকডাউনের কারণে ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি অনেক কম।’

লকডাউনের কারণে মতিঝিল, দিলকুশায় যেতে পারছেন না বেশিরভাগ গ্রাহক। এ কারণে পাড়া-মহল্লার শাখাগুলোতে তুলনামূলক বেশি ভিড় দেখা গেছে। শনির আখরা ও দনিয়ায় গিয়ে দেখা গেছে, ব্যাংকের শাখাগুলোতে মতিঝিল এলাকার চেয়ে তুলনামূলক বেশি ভিড়। এসব এলাকায় ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড়ের ছবি তুলতে গেলে কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। এসব শাখায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখা গেছে।

সাউথইস্ট ব্যাংকের দনিয়া শাখার ডেপুটি ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘চার দিন পর আজ ব্যাংক খুলেছে। তাই, গ্রাহকদের চাপ বেশি। গ্রাহকদের চাপের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাচ্ছে না। আমরা অনলাইন লেনদেনে উৎসাহিত করছি।’