অর্থনীতি

কার্যক্রম ও হটলাইন নম্বর চালু আছে: ইভ্যালি

সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ইভ্যালির কার্যালয় এবং হটলাইন সম্পর্কিত সংবাদ ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। সেসব সংবাদে দাবি করা হয়েছে, ইভ্যালির কার্যালয়, কার্যক্রম এবং গ্রাহক সেবাকেন্দ্রের হটলাইন বন্ধ আছে। কিন্তু, বাস্তবিক অর্থে বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। ফলে, এসব বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অবস্থান পরিষ্কার করতে চায়।

এ বিষয়ে ইভ‌্যালির বক্তব্য— ১) ইভ্যালির কার্যালয় বন্ধ নয়, বরং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আরোপিত বিধি-নিষেধের আলোকে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। শুধু জরুরি সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভাগের লোকবলই অফিসে উপস্থিত হয়ে সরাসরি কাজ করছেন। আমাদের তিনটি ওয়্যারহাউজ আছে। সেখানে আমাদের কর্মীরা গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত আছেন এবং গ্রাহকরা নিয়মিতভাবে তাদের অর্ডার করা পণ্যের ডেলিভারি পাচ্ছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, গত এপ্রিল মাসেও যখন সরকার চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে বা লকডাউন দেয়, তখনও একই নিয়মে ইভ্যালির কর্মীরা ‘হোম অফিস’ করেন এবং গ্রাহক সেবা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সে সময়েও দেখভাল করা হয়। 

২) সরকারি বিধি-নিষেধের আলোকে ব্যাপক লোকসমাগম এড়াতে অফিস থেকে স্বশরীরে গ্রাহকসেবা দেওয়া সাময়িক বন্ধ আছে। উপরন্তু, লকডাউনের আগে এবং পরে একাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় কর্মীদের অফিসে এনে সবার জীবনকে আমরা ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারি না। উপরন্তু, কঠোর বিধি-নিষেধ বা লকডাউনের সময় গণপরিবহন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সুস্থ কর্মীরা চাইলেও অফিসে আসতে ভোগান্তি আর বিড়ম্বনার শিকার হতেন।

৩) তবে, গ্রাহকেরা আমাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম এবং ফেসবুক থেকে নিয়মিত সেবা নিতে পারছেন। একই সঙ্গে আমাদের গ্রাহক সেবাকেন্দ্রের হটলাইন নম্বর প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সক্রিয় আছে। লকডাউন ছাড়া এ সেবা সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রাহক সেবা বন্ধ থাকা আর কার্যালয় ও কার্যক্রম বন্ধ থাকা এক নয়।

গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের হটলাইনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফোন দিয়ে গ্রাহক সেবা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারার অর্থ সাধারণভাবে এটা নয় যে, গ্রাহক সেবাকেন্দ্র থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

৪) এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, ইভ্যালি একটি কঠিন সময় পার করছে। এমন সময়ে গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। ফলে, গ্রাহক সেবাকেন্দ্রে কলের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে। বেশি সংখ্যক গ্রাহকদের সেবা দিতে গিয়ে কোনো কোনো গ্রাহককে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এমনটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টারের জন্যই স্বাভাবিক বিষয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়ে ইভ্যালির কল সেন্টার থেকে দৈনিক গড়ে ১২ হাজার ৫৪টি কলের বিপরীতে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৭৮৯টি কল গ্রহণ করা হচ্ছে আমাদের কল সেন্টার থেকে। এছাড়া, এক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৯২টি কল গ্রহণ করে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের ২২০ জন গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি পালাক্রমে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া, ইভ্যালির বেশিরভাগ কর্মী ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ এর মাধ্যমে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন।

পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্যও আমাদের একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। ১২৩ জনের একটি দল বিভিন্ন শিফটে পালাক্রমে ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ ও নিজস্ব গ্রুপ, ই-মেইল, লাইভ চ্যাট ও নিউজ ফিডের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং তাদের সেবা দিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার ৫৭৬ জন গ্রাহকের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে।

৫) আমরা আশঙ্কা করছি যে, কোনো এক বা একাধিক স্বার্থান্বেষী মহল ইভ্যালির ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, গুজব ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি। ইভ্যালি সম্পর্কিত সকল সর্বশেষ তথ্য গ্রাহকদের সাথে বিনিময় করা হবে। এরজন্য আমাদের সম্মানিত গ্রাহক ও মার্চেন্টদেরকে ইভ্যালির ওয়েবসাইট (www.evaly.com.bd), ফেসবুক পেইজ (https://www.facebook.com/evaly.com.bd), অফিসিয়াল গ্রুপ (https://www.facebook.com/groups/EvalyHelpDesk) এবং জনসংযোগ সম্পর্কিত পেইজ (https://www.facebook.com/evalyprd) এ চোখ রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি।

গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ যে, একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিকে সার্বিক চিত্র হিসেবে দেখে এমন কোন সংবাদ প্রকাশিত না হোক, যা দেশের ৪০ লক্ষাধিক গ্রাহক, ২৬ হাজারের বেশি মার্চেন্ট ও সেলার এবং প্রায় ৫ হাজার কর্মীর জন্য কোনো দুঃসংবাদ বয়ে আনে, তাদের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। একই সঙ্গে ভুল তথ্যসম্বলিত কোনো সংবাদ সাধারণ গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করার পাশাপাশি তাদের অহেতুক আতঙ্কিত করে তুলতে পারে। ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমরা দৃঢতার সাথে বলছি, এই সংকটাপন্ন অবস্থা কাটিয়ে ইভ্যালি একটি লাভজনক উদ্যোগে পরিণত হবে এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে আমরা আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। বিজ্ঞপ্তি