অর্থনীতি

১৭ লাখ টন চাল আমদানি করবে ৪২৮ প্রতিষ্ঠান

কমানো শুল্ক হারে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নেওয়ার শেষ দিনে আরও ১ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ৪২৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লাখ ২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

সোমবার (৩০ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট ৪১ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১০ হাজার টন, ১৮ আগস্ট ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টন, ২২ আগস্ট ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ২২ হাজার টন, ২৩ আগস্ট ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৯৪ হাজার টন এবং ২৪ আগস্ট ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৫৭ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

চাল আমদানির শর্তের মধ্যে আছে—আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশের বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হবে।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এ সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে আমদানিকৃত চাল স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দামও কমছে।