অর্থনীতি

৪ কোম্পানির সার্বিক অবস্থা অনুসন্ধানের নির্দেশ বিএসইসির 

শেয়ারবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে সম্প্রতি মূল মার্কেটে ফিরেছে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস ও মুন্নু ফেব্রিকস। মূল মার্কেটে আসার পর থেকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে।

কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা তেমন শক্তিশালী না হলেও মূল মার্কেটে ফেরার মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে শেয়ারের দাম গড়ে ৮০০ শতাংশ করে বেড়েছে। এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে কোম্পানিগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) ওই চার কোম্পানির বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানিগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি যাচাই করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএসই কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক বাস্তবচিত্র তুলে ধরবে। এছাড়াও প্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল (পিএসআই) তথ্যের সত্যতা যাচাই করবে। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করবে। এর পেছনে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি নিয়ে কমিশন চিন্তিত। এই দর বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক মনে করছে না কমিশন। তাই এর পেছনে কারসাজির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যেই হোক না কেনো।

বিএসইসির নির্দেশনায় গত ১৩ জুন ওটিসি থেকে ফেরা ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন মূল মার্কেটে শুরু হয়। যার পর থেকেই টানা দর বাড়তে থাকে কোম্পানিগুলো। এরমধ্যে কোম্পানিগুলোর ব্যবসার পতনের খবর প্রকাশও তাতে বাধা হয়ে দাড়াঁতে পারেনি। এমনকি দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারণ নেই বলে ডিএসই থেকে সচেতনতামূলক তথ্য প্রকাশের পরে টানা দর বাড়তে থাকে।

এই স্বল্প সময়ের মধ্যে গড়ে ৮০০ শতাংশ করে দর বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরাও। তাদের মতে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ৩ মাসের ব্যবধানে ৮০০ শতাংশ করে দর পাওয়া সম্ভব না। নিশ্চয় এর পেছনে কোনো গোষ্ঠী কাজ করছে।