সারাদেশের বিভিন্ন পয়েন্টে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে টিসিবি। কিন্তু গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ করে পণ্য বিক্রি বন্ধ রেখেছে তারা। এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হতো, সেখানে টিসিবির ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছেন সাধারণ জনগণ। অনেকেই দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে ফিরে গেছেন খালি হাতে।
মুগদার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, কম দামে পাই বলে নিয়মিত টিসিবির ট্রাকে পণ্য কিনি। কিন্তু কয়েকদিন থেকে তারা আর আসছে না। তাই ফিরে যাচ্ছি।
নাসির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি মতিঝিলের একটা বেসরকারি ব্যাংকে পিয়নের কাজ করেন। তিনি টিসিবির বিক্রি বন্ধের বিষয়ে জানতেন না। আবার কবে বিক্রি শুরু হবে সে সম্পর্কেও কোনো ধারণা নেই।
তিনি আরও বলেন, টিসিবির ট্রাক থেকে আমাদের মতো অল্প আয়ের মানুষরা বাজারের চেয়ে কম দামে তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ কিনতে পারতাম। সারা বছর এটা চালু রাখলে আমরা বাঁচতে পারি। বাজারে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, ওই দামে কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) টিসিবি হঠাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেয়। টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আজ (৬ অক্টোবর) থেকে আবারও নতুন করে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হতে পারে। যদিও এ বিষয়টি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
আপাতত বিক্রি বন্ধের বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির রাইজিংবিডিকে বলেন, ২০১৯ সালের আগে বছরে তিন থেকে চারবার টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলতো। এখন প্রতি মাসে এ কার্যক্রম চলছে। আগে মাসের মধ্যে দুই সপ্তাহ বিক্রি হতো, বাকি দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকতো। এখন মাসের মধ্যে ২২ থেকে ২৪ দিন এ কার্যক্রম চলে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশক ও পণ্যের হিসাব-নিকাশ করা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয় করা এবং প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত নিশ্চিত করার জন্য মাঝেমধ্যে কয়েক দিনের জন্য বিরতি দিতে হয়।