বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্ড, ডেরিভেটিবস ও কমোডিটি মার্কেট চালু করা গেলে শেয়ারবাজারের সক্ষমতা আরও বাড়বে। এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আরও নিরাপদ হবে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। আর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের শেয়ারবাজারের ৮৫ ভাগই ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু একটি ভালো শেয়ারবাজারে ইক্যুইটি মার্কেট ৫ ভাগের ১ ভাগ হয়ে থাকে। আমাদের শেয়ারবাজারে উল্টো ইক্যুইটি মার্কেটের অংশটাই বেশি হয়ে গেছে।’
বিএসইসি কমিশনার বলেন, কমিশন দু-একটি গ্রিন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্লু বন্ডের অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। আশা করবো সিএসই অচিরেই পরিবেশবান্ধব কোনো ব্লু বন্ডের প্রস্তাব করতে পারবে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ সপ্তাহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। এই বাজার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সবসময় সচেতনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। এই সচেতনতটা কীভাবে তৈরি হবে, সেটা শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো চেষ্টা করবে। তবে যেসব বিনিয়োগকারী সরাসরি বিনিয়োগ শিক্ষা বা সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করতে পারেন না, তাদের বিএসইসির ওয়েবসাইট দেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। অথবা ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিডি ডটকমে গিয়ে বিনিয়োগ শিক্ষা সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পাবেন।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজারের আমরা যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ রেগুলেটর আছি, তাদের মনে রাখতে হবে বিনিয়োগকারীরাই শেয়ারবাজারের প্রাণ। এই বিনিয়োগকারীদের আমরা যত ধরনের সুযোগ ও সুরক্ষা দিতে পারবো, কাছে নিয়ে আসতে পারবো, তাদের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনকে মূল্য দিতে পারবো, ততই বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হবে। একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি হবে।’