অর্থনীতি

‘পুঁজিবাজার সম্পর্কে আস্থা জাগিয়ে তুলতে হবে’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘পুঁজিবাজারের চেয়ে ভালো বিনিয়োগ করার মাধ্যম আমার জানা নেই। তাই বাজার কীভাবে সবার কাছে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। এ বাজার সম্পর্কে সকল মানুষকে জানানো, বোঝানো এবং আস্থা জাগিয়ে তুলতে হবে।’

রোববার (১০ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে ‘সচেতন বিনিয়োগ, টেকসই শেয়ারবাজার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের (বিএএসএম) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবিএ’র প্রেসিডিন্টে শরিফ আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া। আলোচক ছিলেন ডিবিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও ও ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএএসএমের ডিজি ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ও ডিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাজেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন।

অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারবাজার কতিপয় মানুষের জন্য না। কেউ যদি এমনটি বলেন, তার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করবো। এ বাজার সবার জন্য। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, সবাইকে বুঝাতে ও জানাতে হবে বিনিয়োগ করার উপায় সস্পর্কে।’

শেখ সামসুদ্দিন বলেন, ব্রোকাররা হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মৌলিক সংযোগ স্থাপক। এখন থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা সংযুক্ত হয়। তারাই হচ্ছে ইন্টারফেজ, তাদেরই বিনিয়োগকারীরা দেখে, তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের কথা হয়। আর তাদের মাধ্যমে একটি বিও হিসাব খোলা হয়। তাদের মাধ্যমে তথ্য উপাত্তের আদান-প্রদান করা হয়। টাকা-পয়সা আদান-প্রদান হয়। বলতে গেলে সব কিছুই হয় ব্রোকারদের মাধ্যমে। তারা যে দায়িত্বটা নেয়, সেটা অসীম ও প্রসংশনীয়।

তিনি আরো বলেন, আইটেম টাইপের ব্রোকার, অ্যাসিসটেন্স ব্রোকার এখন আর বিনিয়োগকারীরা চান না। তারা চান আরও সূচারু রূপে যেন তথ্যউপাত্ত পাওয়া যায়, যা দিয়ে তারা স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বিএসইসি’র কমিশনার বলেন, ব্রোকারদের অনেক গুরু দায়িত্ব রয়েছে। এ গুরু দায়িত্ব পালন করার জন্য সর্বোচ্চ সততা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে ব্রোকারকে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য দিক নির্দেশনা দিতে হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আরও উন্নত হবে এবং বৃদ্ধি পাবে।

অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানি লন্ডারিং নিয়ে আমাদের তেমন কার্যক্রম ছিলো না। তবে এ নিয়ে কাজ করার জন্য এখন একটি ইউনিট আছে। স্ক্যামের উপরে আমরা অনেক কাজ করছি। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। ধীরে ধীরে আমরা আরও কঠোর হবো। আর আইনের মাধ্যমে আমরা গ্রিন ও ব্লু বন্ডকে প্রোমট করছি। এখানেই আমরা থেমে থাকব না। আরও নতুন নতুন পোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসবো।’