অর্থনীতি

পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কৃষি খাতে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। কৃষির আধুনিকায়ন এবং সরকারের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার নীতি আমাদের উৎসাহিত করেছে। কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকায় একটি হোটেলে বণিক বার্তা এবং বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর : কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা এবং আফতাব বহুমুখী ফার্মস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণী সম্পদে আমরা এখন স্বয়ংসম্পন্ন।  চাহিদার বেশি প্রাণী আমরা উৎপাদন করছি। এখন বাংলাদেশ মাংস রপ্তানির চেষ্টা করছে। মৎস্য চাষে পৃথিবীতে বাংলাদেশেল অবস্থান এখন তৃতীয়। দেশে মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর মাছ রপ্তানি করছে।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিটি সেক্টরে স্বয়ং সম্পন্ন হওয়ার জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের ঘাটতি আছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপাদন হচ্ছে। ফলে আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানো চেষ্টা করছি। সারাবছর উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদিন পেঁয়াজ যাতে নষ্ট না হয় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়, এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষি খাতে বাণিজ্যকরণে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ, ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। খাদ্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উৎপাদনে সফল হয়েছি আমরা। উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নতুন জাত আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। সরকার নীতিগত ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধি করেছে, এ ধরনের সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।