অর্থনীতি

সহসা বাজারে আসছে না সরকারি ২৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার

সরকারি ২৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পুঁজিবাজারে সহসা না আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

তিনি বলেছেন, ‘সরকারি ২৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে সেটি হয়নি। এ নিয়ে এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে লাভের পাশাপাশি ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।’

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে যখন কোনো ভালো শেয়ার থাকে না, তখন একদিকে মার্কেট বেশি চলে যায়। সারাবিশ্বে এটি হয়। সেজন্য এমন সমস্যা থাকলে সরকার বাজেট সহায়তা দিয়ে বাজার ভারসাম্য রাখে। সেজন্য আমরা উদ্যোগটি নিয়েছিলাম। দেখা গেলো, আমাদের মার্কেটে যে পরিমাণ শেয়ার থাকা দরকার ছিলো সেটি আছে। সেজন্য সরকারকে আর সেই কাজ করতে হয়নি।’

শেয়ারবাজারে লাভের পাশাপাশি ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বেই শেয়ারবাজার একইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। লাভের জন্য আপনি আসবেন, পাশাপাশি ঝুঁকির বিষয়টিও আপনার মাথায় রাখতে হবে।’

শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় যে দায়িত্ব সেটা পালন করবো সেটা হলো- সরকারের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দেওয়া, এটি সরকার দিয়ে যাবে। তবে কেউ যদি অনেক লাভের জন্য কোনো কিছু চিন্তা না করেই বিনিয়োগ করেন তাহলে তো হবে না। সব কিছু ক্যালকুলেশন করে বিনিয়োগ করতে হবে। এ কথাটি আমি সব সময় বলে আসছি।’

তিনি বলেন, বাজারেরও তো একটি ভিত্তি আছে। সেটা হলো অর্থনীতি। তাই অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে ততই শেয়ারবাজার শক্তিশালী হবে। অন্য কোনো কিছু দিয়ে এটাকে প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। আমি সবসময় বলি সবাই বুঝে শুনে বাজারে আসবেন। বাজারটিতে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে। দৈনিক ওঠানামা করছে। সুতরাং এটা অনেক বেশি সেনসিটিভ। এই জায়গাটিতে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’

এলএমজি (তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস) নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ইনফ্লেশন আমাদের ধারণার মধ্যেই আছে। ওভারঅল ইনফ্লেশন বাড়েনি। আমরা প্রতিনিয়ত এটা পর্যালোচনা করেই আপডেট নিই। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে জ্বালানির দাম যেভাবে বাড়ছে, খাদ্যশস্যের দামও সেভাবে বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম তো আমরা ফিক্স করে রাখিনি। এটা ফিক্সড না। এটা ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের ওপর নির্ভর করে। ডিমান্ড যদি বেশি থাকে আর সাপ্লাই যদি কম থাকে তাহলে ডলারের দাম বাড়বে। এটা স্বাভাবিকভাবেই এডজাস্ট করে নেয়। অতীত থেকে আমরা যেভাবে করে আসছি, সেভাবেই হয়ে আসছে। এখানে আইএমএফ কী বলেছে, আমি জানি না।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ডলার বেচাকেনা কীভাবে হয়? ব্যাংকগুলোর কাছে যখন ডলারের পরিমাণ বেশি থাকে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ডলার কিনতে পারে। অন্যান্য দেশেও এমনটা হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশে এটা ফিক্সড করা থাকে, মার্কেট আপগ্রেড করুক বা না করুক, ফিক্সড রেটেই নিতে হবে। আমাদের দেশে এমন নয়।’