অর্থনীতি

রানার অটোমোবাইলস ছাড়ছে ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স

শেয়ারবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) অনুমোদন দিয়েছে। ফলে বাজারে প্রায় ৩ কোটি শেয়ার বাড়ছে কোম্পানিটির।

তথ্য মতে, পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী প্লেসমেন্ট শেয়ারের লক ইন থাকে তিন বছর। এই রুলস অনুযায়ী আগামী মে মাসে লক ইন ফ্রি হওয়ার কথা ছিল। এই রুলস থেকে অব্যহতি চেয়ে গত ২৭ জুন এক বছর কমিয়ে আনার জন্য বিএসইসি’র কাছে আবেদন করে ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স। 

এরই ধরাবাহিকতায় গত ১ ডিসেম্বর ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স আ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে (বাংলাদেশ) চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স পিই ফান্ডের রানার অটোমোবাইলসের ২৪.৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সে অনুযায়ী কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৪ হাজার ৩৪৭টি।

জানা গেছে, নরডিক দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সমন্বিত বিনিয়োগ কোম্পানি ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স। ২০০৮ সালে ইউরোপভিত্তিক অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স বাংলাদেশে প্রাইভেট ইকুইটিকেন্দ্রিক ১০ কোটি ডলারের দ্য ফ্রন্টিয়ার ফান্ড গঠন করে। 

তাদের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি), ডিইজি, নরফান্ট ও অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগরীও ছিল। বিশ্বব্যাপী ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্সের আওতায় হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। স্টকহোম, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, নিউইয়র্ক, ম্যানিলা ও ঢাকায় তাদের কার্যালয় রয়েছে।

এদিকে রানার অটোমোবাইলস শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৯ সালে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫০.০৪ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬.৩৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩.৫৮ শতাংশ রয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ডিএসইতে কোম্পানিটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫৪.৩০ টাকায়।