অর্থনীতি

সর্বনিম্ন সীমায় বিক্রয়াদেশ, ১৫ ব্রোকারের ব্যাখ্যা তলব

লেনদেন শুরুর আগেই বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির শেয়ারে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমায় বিক্রয়াদেশ দেওয়ায় ১৫ ব্রোকারেজ হাউজের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. কামাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো—শাহেদ সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, এস অ্যান্ড এইচ ইক্যুইটিজ, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ এবং মিডওয়ে সিকিউরিটিজ।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর আগে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১০টার মধ্যে আগের দিনের ক্লোজিং দরের থেকে ২ শতাংশ কমে বিক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে, যা বেআইনি ও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে এ চিঠি ইস্যুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘লেনদেন শুরুর আগেই বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির শেয়ারে ওই ১৫ ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ২ শতাংশ কমে বা সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমায় বিক্রয়াদেশ দেওয়া হয়। যেটা সন্দেহজনক। এ বিষয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’