অর্থনীতি

‘নগদ-এ চিঠি’ ক্যাম্পেইনের ৫০ জন পুরস্কৃত

‘নগদ-এ চিঠি’ শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। যেখানে গ্রাহকেরা ‘নগদ’ নিয়ে তাদের ভালোলাগার গল্প চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে, যা পরবর্তীতে ‘সেরা চিঠি’ হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেছে ‘নগদ’।

৫ দিনব্যাপী চলা এই ক্যাম্পেইনে অসংখ্য চিঠি জমা পড়ে এবং ‘সেরা চিঠি’ নির্বাচিত ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে ‘নগদ’। এর আগে প্রতিযোগিরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ‘নগদ’-এর দুটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে #নগদ-এ_চিঠি এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এবং সরাসরি ‘নগদ’ সেবা পয়েন্টগুলোতে উপস্থিত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

অংশগ্রহণকারী হাজারো চিঠি থেকে সেরা ৫০টি চিঠি বাছাই করা হয়, যারা ‘নগদ’ নিয়ে তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। ‘নগদ’ কীভাবে লেনদেনে তাদের অর্থনৈতিক জীবনকে আরও সহজতর করে দিয়েছে, সেসব কথা প্রতিযোগীদের চিঠিতে উঠে এসেছে।

নগদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে চিঠির মাধ্যমে নিজের অনুভূতির কথা তুলে ধরেন বগুড়া সদর উপজেলার বিজয়ী আরিফ রহমান। তিনি লেখেন, ‘নগদ-ই একমাত্র মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, যেটি বাজারে বিদ্যমান মনোপলি ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে। সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, বিনামূল্যে বিল-পে সুবিধাসহ নগদের অন্যান্য দৃষ্টিনন্দন সেবাসমূহের কারণে আমি নগদ ব্যবহার করি।’

খুলনা থেকে বিজয়ী হয়েছেন মো. শাহীন খান। তিনি লিখেছেন, ‘নগদ-এর সেবাগুলো এত সুন্দর করেছে, যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। নগদ-এর ইসলামিক অ্যাকাউন্টের সেবাটি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। কারণ এটি সুদবিহীন শরিয়াসম্মত অ্যাকাউন্ট। আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার পর তারাও নগদ-এ ইসলামিক অ্যাকাউন্টের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এটি ব্যবহার করা শুরু করেছে।’

আরিফ রহমান ও শাহীন খানের মতো এমন হাজারো গ্রাহক ‘নগদ’ নিয়ে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়ে ‘নগদ-এ চিঠি’ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এই ক্যাম্পেইনকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ‘নগদ’। যেখানে ‘নগদ সেবা’ পয়েন্ট থেকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রাখা ছিল একটি লেটার কার্ড। যার একপাশে গ্রাহকের নাম ঠিকানা এবং অন্যপাশে ‘নগদ’ নিয়ে গ্রাহকের ভালোলাগার কথা, গল্প আকারে জানানোর ব্যবস্থা ছিল।

নগদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে এমন বহু গ্রাহক নগদ নিয়ে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন চিঠির মাধ্যমে। চিঠি লেখার যে ঐতিহ্য প্রায় হারাতে বসেছে, মানুষ কিছুটা হলেও চিঠি লেখার সেই ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হতে পেরেছে এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে।

ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে ‘নগদ’-এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) শেখ আমিনুর রহমান বলেন, ‘নগদ-এ চিঠি ক্যাম্পেইনে আমরা গ্রাহকদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। গ্রাহকেরা ‘নগদ’ নিয়ে তাদের বিভিন্ন অনুভূতির কথা চিঠিতে লিখে শেয়ার করেন। চিঠিগুলো পড়ার সময় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গ্রাহককে আমাদের বিজয়ী মনে হয়েছে। যেহেতু এটি একটি প্রতিযোগিতা, তাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। সকল অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন। গ্রাহকদের ভালোবাসা নিয়ে ‘নগদ’ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’