অর্থনীতি

রাইস ব্রান থেকে ২৫ ভাগ ভোজ্যতেল পাওয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন,  ‘আমাদের দেশের যে রাইস ব্রান ওয়েল উৎপাদন হয়। সেটাকে যদি ভালোভাবে উৎসাহ দেওয়া যায় তাহলে ভোজ্যতেলের প্রায় ২৫ ভাগ এখান থেকে পাওয়া সম্ভব। এখান থেকে প্রায় সাত লাখ টন তেল উৎপাদন সম্ভব। এই তেলের খরচ একটু বেশি পড়লেও গুণগতমান অনেক ভালো। এ বিষয়ে গণমাধ্যম এবং চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানান দিতে হবে।’

বুধবার (১৮ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব তিনি এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। বাস্তবতা হলো এটি রাজনৈতিক বক্তব্য বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোজ্যতেলের ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়; যে কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এর দাম। বিশেষ করে তেলের দাম বৃদ্ধির বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে সে প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দাম নির্ধারণ করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে আমাদের দেশেও বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, বিকল্প পদ্ধতিতে কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। সেটা আমদানি করে হোক অথবা আমাদের দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি করে হোক।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে সঙ্কট সৃষ্টি হলেও এখান থেকে বেশ কিছু পথ বেরিয়ে আসছে। খুঁজতে হচ্ছে নতুন নতুন পথ। আমরা চেষ্টা করছি আমদানি বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে।’

পেঁয়াজের দাম নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিকভাবে একটি মনিটরিং করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়লেও সেটা ক্রয়সীমার মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হতো তাহলে দেশের কৃষকরা দাম পেতেন না। এখানেও আমাদের বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে হয়।’ 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গম ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করা হতো ইউক্রেন থেকে। কিন্তু এখন সেখানে যুদ্ধ চলায় সেটা বন্ধ রয়েছে যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব বিভিন্ন সেক্টরে পড়ে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে যেখানে তেল অতিরিক্ত মজুত পাওয়া যাচ্ছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ও ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার পর আমরা চেষ্টা করছি আরো অন্তত পাঁচটি গম উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আশা করছি, ওইসব দেশ থেকে গম আমদানি করা সম্ভব হবে।‘