অর্থনীতি

এটিবিতে স্থানান্তরে এক্সেলসিয়র সুজের সক্ষমতা দেখবে বিএসইসি

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত রয়েছে এক্সেলসিয়র সুজ। সম্প্রতি ওটিসি মার্কেট বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তাই এটিবিতে স্থানান্তরের আগে আর্থিক অবস্থার অগ্রগতি জানতে এক্সেলসিয়র সুজের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি এক্সেলসিয়র সুজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পুরো পরিচালনা পর্ষদকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

একই সঙ্গে এ বৈঠকের বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।  

এক্সেলসিয়র সুজের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিএসিইসি উল্লেখ করেছে, আগামী ২৫ মে (বুধবার) বিএসইসির সভা কক্ষে বিকাল ৩টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম। এক্সেলসিয়র সুজের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের উক্ত সভায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিল করা এবং কোম্পানিটির উৎপাদন ও আর্থিক কর্মক্ষমতা ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এদিকে চিঠিতে ডিএসই ও সিএসইর কাছে এ বৈঠকের বিষয়ে কোম্পানিটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে কমিশনে দাখিল করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডিএসইকে এক্সেলসিয়র সুজের কার্যক্ষম এবং আর্থিক অবস্থা মূল্যায়নের জন্য অফিস ও কারখানা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করার অনুমোদন দিয়েছে। ডিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির অফিস ও কারখানা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনের নির্দেশ দেয় কমিশন। কোম্পানিটির পরিদর্শন প্রতিবেদন পাওয়ার পর এটিবিতে স্থানান্তরের বিষয়ে বিএসইসি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

বিএসইসি ওটিসির কিছু কোম্পানিকে এটিবিতে ও এসএমই বোর্ডে স্থানান্তরের জন্য কাজ করছে। তাই এটিবিতে এক্সেলসিয়র সুজকে হস্তান্তরের আগে কোম্পানিটির কার্যক্ষম এবং আর্থিক সক্ষমতা অবস্থা জানতে চায় কমিশন।

তথ্য মতে, এক্সেলসিয়র সুজ একটি শতভাগ রপ্তানিমুখী জুতা প্রস্ততকারক কোম্পানি। ১৯৯৬ মূলধন ব্যয় এবং কার্যকরী মূলধনের প্রয়োজনীয়তা মেটানো এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এক্সেলসিয়র সুজ। তালিকাভুক্ত পর থেকে ২০০৩-০৪ অর্থবছর পর্যন্ত, কোম্পানিটি ভাল ব্যবসা করেছে। কিন্তু এরপর থেকেই কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থান অবনতি হতে থাকে। তবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে কোম্পানিটি পুনরায় মুনাফায় ফিরে, যা ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর থেকে কোম্পানিটি সঠিকভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানের এক্সেলসিয়র সুজের পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ৬.৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭০.৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।