অর্থনীতি

বড় করপোরেটরা চাল ব্যবসায় নেমেছে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘চালের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে, চিকন চালের তুলনায় মোটা চালের দাম তেমন বাড়েনি। মানুষের মধ্যে চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তাই, বড় করপোরেটরাও চাল ব্যবসায় নেমেছে।’

শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘চিকন চালের দাম বর্তমানে ৬৫-৬৬ টাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৭০ টাকাও হতে পারে। অথচ, মোটা চালের দাম ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা। দুই মাসে এই চালের দাম কিন্তু বাড়েনি। চালের দাম বাড়ায় ফ্রেশ, এসিআই, স্কয়ার, বিএটিবিসির মতো বড় করপোরেটরা চালের ব্যবসায় নেমেছে। তাদের চালের প্যাকেট ৮২-৮৫ টাকায় বিক্রি করছে। দাম বেশি হলেও তাদের সরবরাহ বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘পটাশিয়াম সার আগে আমরা ৩০০ থেকে ৩৫০ ডলারে (প্রতি টন) কিনতাম। গত পারচেজের (কেনাকাটা) সময় এটা ১২০০ ডলার লেগেছে। তার মানে বলা যায়, চার গুণ বেড়েছে। সারে আমরা অনেক বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। এটা না দিলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতেন, কৃষিপণ্যের উৎপাদন কমে যেত। আমরা এমনটা হতে দিইনি।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষের আয় বেড়েছে। সে কারণে আগে যারা এক মিল খেতো, এখন তারা দুই মিল খান। খাদ্যে আমরা অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাবারের জন্য দুর্ভিক্ষ, হাহাকার হবে না, ইনশাল্লাহ। তবে, গমের দাম বেড়েছে। আটার দাম যখন বাড়ে, তখন চালের ওপর চাপ বেশি পড়ে। অন্যদিকে, বড় করপোরেট হাউজগুলো প্যাকেটজাত চাল বাজারজাত করছে। তাদের চালের দাম অনেক বেশি। আমি তাদের দাম জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছে, প্যাকেটজাত চাল ৮২-৮৫ টাকায় বিক্রি করে। আমি বললাম, এই চাল তো খোলা বাজারে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। তারা বলল, আমাদের চাল তো এই ৮২-৮৫ টাকাতেই চলে, অনেক চাহিদা। মানুষ কিনতে পারে, তাই চাহিদা বেশি।’