অর্থনীতি

এডিবির ঋণ ব্যবহারের পরিকল্পনা এনভয়ের কাছে চেয়েছে বিএসইসি

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেবে পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনভয় টেক্সটাইলস। দ্বিতীয় স্পিনিং ইউনিটের যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি কিনে কারখানায় স্থাপন করতে এডিবির এ ঋণের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কোম্পানিটি। আর ঋণ গ্রহণের আগে কোম্পানিটির ঋণের অর্থের ব্যবহারের বিস্তারিত পরিকল্পনা ও সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বেশ কিছু তথ্য চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি এনভয় টেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ মে এ বিষয়ে এনভয় টেক্সটাইল চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এনভয় টেক্সটাইলসকে এ চিঠি জারির ৭ দিনের মধ্যে তথ্যগুলো প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

তথ্যগুলোর মধ্যে এনভয় টেক্সটাইলসের পরবর্তী ৭ বছরের জন্য নগদ প্রবাহের প্রক্ষেপণের তথ্য, কোম্পানিটির ঋণের অর্থের ব্যবহারের বিশদ পরিকল্পনা এবং এর সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ, কোম্পানিটির বিদ্যমান ঋণের বছরভিত্তিক ব্যবহার এবং পরবর্তী ৭ বছরের জন্য ডেবট সার্ভিসিং ক্ষমতা অনুপাতের প্রক্ষেপণের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের গত ১৬ মে এনভয় টেক্সটাইলসের পরিচালনা পর্ষদ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্বিতীয় স্পিনিং ইউনিটের (ব্লেন্ডেড ইয়ার্ন প্রজেক্ট) জন্য যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি কিনে কারখানায় স্থাপন করতে এডিবির এ ঋণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, দেড় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৭ বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য ঋণ প্রস্তাবটি দিয়েছে এডিবি। আর ছয় মাস বা অর্ধবার্ষিক কিস্তিতে ওই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। যথাযথ চুক্তির শর্ত পূরণ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিটিকে এডিবির প্রস্তাবিত ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের ঋণ বিতরণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে এনভয় টেক্সটাইলস তালিকাভুক্ত হয় ২০১২ সালে। ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৭টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫৭.৯৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৫.৬১ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.০৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে ৬.৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৪১.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।