অর্থনীতি

চীন-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে এইচবিএলের প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচবিএল।

প্রতিষ্ঠানটি হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত ‘চায়না নাইট ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ঢাকায় চীন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরামর্শক সং ইয়াং, স্থানীয় কর্পোরেশনগুলোর প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত চীনা কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এইচবিএল’র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইচবিএল সিঙ্গাপুর ও চীনের আঞ্চলিক জেনারেল ম্যানেজার ফারহান তালিব, এইচবিএল চীনের কান্ট্রি ম্যানেজার চেং ওয়েই (অ্যামান্ডা), এইচবিএল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম বরকত, এইচবিএল’র গ্লোবাল হেড অফ চায়না কাভারেজ জিসান মালিকসহ এইচবিএল চীন ও বাংলাদেশের আরও অনেক সহকর্মী।  

অনুষ্ঠানে এইচবিএল বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী চীনা ব্যবসায়ীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার কথা তুলে ধরে। এগুলোর মধ্যে আছে গ্রাহক সংযোগ, বাণিজ্য সুবিধা, আরএমবি সেটেলমেন্ট এবং ট্রেড ডিসকাউন্টিং সম্পর্কিত উদ্ভাবনী সমাধান।

আয়োজনে মূল বক্তব্য প্রদান করেন এইচবিএল চীনের কান্ট্রি ম্যানেজার চেং ওয়েই (অ্যামান্ডা)। বক্তব্যে তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের শুরুটা বাংলাদেশের জন্ম থেকেই। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত দেশ দুটি ক্রমাগত নতুন নতুন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে, যা বর্তমান বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের মাধ্যমে এখনো চলমান। বহু বছর ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচবিএল বাংলাদেশ দেশীয় উদ্যোগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি আন্তরিকভাবে আশা করছি যে, আজকের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আলোচনা জোরদার করা ও সুযোগ কাজে লাগাতে পারবো। একইসাথে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে সবার উপকারের জন্য যৌথভাবে অর্থ ও বাণিজ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতা অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও আমি আশাবাদী।    

বিআইডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকে বাংলাদেশ সবসময়ই স্বাগত জানায়। চীনা কোম্পানিগুলোকে সব খাতে কার্যক্রম পরিচালনায় সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিআইডিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনাব মিয়া দেশে আরও বেশি পরিমাণে চীনা বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করার জন্য চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে দারুণ সহায়ক একটি পরিবেশ পেয়ে থাকে।

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে কার্যরত আঞ্চলিক প্রাসঙ্গিকতাসম্পন্ন ব্যাংকটির এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা। পাশাপাশি এইচবিএল’র আঞ্চলিক অবস্থান এবং চীনে কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা তুলে ধরা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে আরএমবি লাইসেন্সপ্রাপ্ত তিনটি ব্যাংকের একটি হলো এইচবিএল। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড আরএমবি মধ্যস্থতা সেবা প্রদান করতে পারে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে কার্যরত আঞ্চলিক প্রাসঙ্গিকতাসম্পন্ন ব্যাংক এইচবিএল বাংলাদেশে ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এটি একটি পূর্ণ-পরিষেবামূলক বাণিজ্যিক ব্যাংক। গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনী সমাধানসহ আর্থিক পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে এই অঞ্চলে শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃত ব্যাংকটি। আগা খান ফান্ড ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (একেএফইডি) এইচবিএল-এর ৫১ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রক। বাকি শেয়ার ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আওতায়।