অর্থনীতি

কনটেইনার আমদানিতে শুল্ককর অব্যাহতি

কনটেইনার আমদানিতে শুল্ককর পুরোটাই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। এসব কনটেইনার আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ককর ছিল। শুল্ককর অব্যাহতি দেওয়ায় আমদানি-রপ্তানির পণ্যবাহী দেশীয় কনটেইনার কোম্পানি সম্প্রসারণ হবে। এতে ভাড়াবাবদ অর্থ ডলারের পরিবর্তে টাকায় পরিশোধ করার সুযোগ তৈরি হবে, ডলারের ওপর চাপ কমবে।

এবার বাজেটে সরকার এ সংক্রান্ত যে ৪টি পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত ‍সুবিধা দিয়েছে তার মধ্যে দুটি হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনার ও সাধারণ কনটেইনার। অপর দুটি টার্বো ও জেট ইঞ্জিন আমদানি।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী।

আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ভাড়া বাবদ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ডলার ব্যয় করতে হয় আমদানিকারকদের। ডলার সাশ্রয় ও দেশি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে এবার কনটেইনার আমদানিতে বড় ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ চলাচল করলেও কনটেইনার ব্যবসার ১০০ ভাগই ছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে। প্রতি বছর প্রায় ৩০-৩৫ লাখ কনটেইনার আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে কাজে ব্যবহার হয়।

এসব কনটেইনারের গন্তব্য অনুযায়ী ১০০-১৫০ ডলার পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু শুল্ক বেশি হওয়ায় কনটেইনার আমদানি প্রায় শূন্য ছিল। এখন ‍শুল্ককর প্র‌ত‌্যাহার করায় কনটেইনার আমদানি বাড়বে। আর ভাড়া বাবদ অর্থ দেশীয় কোম্পানিগুলোকে টাকায় পরিশোধ করা যাবে।