অর্থনীতি

আইপিও’র অর্থ ব্যবহারের পরিকল্পনা জানাতে চায় নাভানা ফার্মা

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহারের পরিকল্পনা জানাতে চেয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এজন্য কোম্পানিটি পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করতে চায়।

সম্প্রতি এ বিষয়ে আবেদন জানিয়ে বিএসইসি’র চেয়াম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জোনায়েদ শফিক।

আইপিও অনুমোদনের বিষয় উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়েছে, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস ২০২২ সালের ১৮ জুন আইপিও অনুমোদনের সম্মতপত্র (কনসেন্ট লেটার) পেয়েছে। এর পর ১৩ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু করে। কোম্পানিটিকে দেওয়া কনসেন্ট লেটারে বলা হয়েছে, ইস্যুকারী কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এবং ইস্যু ম্যানেজাররা তিন মাস পর পর কমিশনের ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে। সেই সঙ্গে বৈঠকে প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পরিপালনের (কমপ্লায়েন্স) অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।

তাই, কোম্পানিটির দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক শেষে উল্লিখিত মিটিং করতে চায় এবং কমিশনের ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় পেতে অপেক্ষা করছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ০.৮৫ টাকা।

অন্যদিকে, ৯ মাসে (জুলাই, ২২-মার্চ, ২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৫৭ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ২.৩৯ টাকা। ৩১ মার্চ ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাড়িয়েছে ৪০.৯০ টাকা।

কোম্পানিটি গত ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.৪২ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.৫২  টাকা। ২০২২ সালের ৩০ জুন, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শোয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৩.৪১ টাকা।

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই টাকা কোম্পানির নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।