ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “আমি বোর্ডের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছি, বোর্ডও এটা গ্রহণ করেছে। এখন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে। আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংকও এটা গ্রহণ করবে। এখানে কোনো চাপ নেই বা অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা নেই। ব্যক্তিগত কারণে আমি নিজেই পদত্যাগ করেছি।”
পদত্যাগ নিয়ে ব্যাংকটির কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি লেখেন, “প্রিয় সহকর্মীরা, সব ভালো জিনিসেরই শেষ আছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাক ব্যাংকে আমার সময়েরও শেষ হতে চলেছে। আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। কিছু আনুষ্ঠানিকতা ও প্রক্রিয়া এখনো বাকি রয়েছে। তবে, আশা করি সেগুলো কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। আজই সম্ভবত আমার ব্র্যাক ব্যাংকে শেষ কর্মদিবস। গত প্রায় দশ বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য একটি বড় সম্মানের বিষয় ছিল। আমরা একসঙ্গে একটি অসাধারণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
তিনি আরো লেখেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ব্র্যাক ব্যাংক ভবিষ্যতেও উন্নতি অব্যাহত রাখবে এবং দেশের অর্থনীতি ও সমাজে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে আগামী দিনে আরো সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করছি। আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। অনুগ্রহ করে আমাকে ও আমার পরিবারকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখবেন।”
জানা গেছে, সেলিম আর. এফ. হোসেন আজ পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পরিচালনা পর্ষদ তার পদত্যাগ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চেয়েছে।
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড ইন্সটিটিউটশনাল ব্যাংকিংয়ের প্রধান তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।