বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “আমাদের মূল্যস্ফীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এক্সচেঞ্জ রেট। বর্তমানে আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল আছে। এমন স্থিতিশীল পরিস্থিতি থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছি। মূল্যস্ফীতি কমলে জুলাই -সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদহারও কমানো হবে।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর বলেছেন, “এক্সচেঞ্জ রেট কমাতে না পারলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত। এটা এখন স্বস্তির মধ্যে আসছে। গত সাত-আট মাস ধরে এক্সচেঞ্জ রেট ১২২-১২৩ টাকার (প্রতি ডলারের বিপরীতে) মধ্যে স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও তেমন পরিবর্তন হয়নি। এতে মূল্যস্ফীতি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি একটু বেশি আছে। এটি এখন ১০ শতাংশের নিচে আছে।
গভর্নর বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম কমছে। আগামী দিনগুলোতে আমাদের দেশে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমরা এর সুফল পাব। এছাড়া, মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা মনিটরিং পলিসি টাইট করে রেখেছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসলে জুলাই-সেপ্টেম্বরের দিকে আমরা সুদের হার কমাতে পারব।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।