জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এইচএস কোড অথবা পণ্যের বর্ণনায় ভিন্নতা থাকলেও বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মালামাল খালাসের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বন্ডেড গুদামজাত পণ্যের খালাস সহজ হলো। একই সঙ্গে মালামাল খালাসে গতি ফিরবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশনের সাথে অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের জন্য দাখিলকৃত ঘোষণায় পণ্যের বর্ণনা ও এইচএস কোডের পরীক্ষার মাধ্যমে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরুপিত এইচএস কোড অথবা পণ্যের বর্ণনা কখনো কখনো নানাবিধ কারণে ভিন্ন হয়ে থাকে। এরূপ ভিন্নতার ফলে পণ্য শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয় এবং যথাসময়ে পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে।
রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মালামাল খালাস সংক্রান্ত এরূপ জটিলতা নিরসনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ স্বাক্ষরিত এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নতুন নির্দেশনা অনুসারে বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত পণ্যের বর্ণনা ও এইচএস কোড অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন এইচএস কোড বা ভিন্নতর পণ্যের বর্ণনা নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত এইচএস কোডের প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত এইচএস কোডের প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে উক্ত এইচএস কোড অথবা পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস হতে দ্রুত পণ্যচালান খালাস করা যাবে।
এছাড়া, বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত পণ্যের বর্ণনা ও এইচএস কোড অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন এইচএস কোড নিরূপণ করা হলে বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিবিএমসি) এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্যতায় উক্ত এইচএস কোড অন্তর্ভূক্ত করে সর্বোচ্চ ২ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে পারবে।
এ নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে বন্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে মনে করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।