অর্থনীতি

‘আইন মেনে তোবা বন্ধ করতে হবে’

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রচলিত আইন মেনে শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে যে বিধান রয়েছে তা পরিশোধ করে তোবা গার্মেন্ট কারখান বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় কোনো কারখানা বন্ধ করা যাবে না। আর আইন মেনে কোনো ব্যবসায়ী যদি মনে করেন তিনি ব্যবসায় থাকবেন না, তাহলে তাকে তো জোর করে ব্যবসায় রাখা যাবে না।বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে  নিজ দফতরে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার গ্রেগরি উইলকফ এর সঙ্গে  সৌজন্য বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে  তিনি এ কথা বলেন। তোবার আন্দোলনের বিষয়ে তোফায়ের আহমেদ বলেন, ‘তোবার আন্দোলনে বেশির ভাগ আন্দোলনকারী ছিল বহিরাগত। নির্ধারিত দিনে ও পরের দিনে শ্রমিকরা বিজিএমই থেকে বেতন নিয়ে তা প্রমাণ করেছে। অনেকে তাদের বেতন না নেওয়ার জন্য আটকাতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু শ্রমিকদের কেউ আটকাতে পারেনি।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি আদায়ে সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। আমরা তিনজন মন্ত্রী বিজিএমইর সঙ্গে বার বার বৈঠক করেছি এবং শ্রমিকদের টাকা দিতে তাদের বাধ্য করেছি। আমাদের পদক্ষেপের কারণেই মালিক জমি বিক্রি করে বেতন পরিশোধ করেছে।’  অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্ক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় অনেক কয়লা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রয়োজনে তা আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া তাদের দেশে আমাদের দেশের অনেক ছাত্র উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছ। যা বাংলাদেশ সরকার চাইলে কর্মকর্তারা তাদের প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবে।’ তিনি বলেন,  ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিষয়ে অস্টেলিয়ান হাই কমিশনার গ্রেগরি উইলকফ জানিয়েছে, এ নির্বাচনে তাদের কোনো সমস্যা নেই। তারা সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার।’  

 

রমজানের ঈদের কয়েকদিন আগ থেকে রাজধানীর বাড্ডায় তোবা গ্রুপের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করে। এক পর্যায়ে তারা আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেয় যা ঈদের পরেও অব্যাহত থাকে।

 

এতে শ্রমিক নেতাসহ কয়েকটি প্রগতিশীল দলের নেতারা সমর্থন দেয়। পরবর্তীতে কারখানা মালিক দেলোয়ারের জামিনে মুক্তির পর তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমই ও সরকারের উদ্যোগে শ্রমিকদের ৩ মাসের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদ শেষে কারখানা বন্ধ থাকায় এখনো কাজে যোগ দিতে পারেনি শ্রমিকরা । এতে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তাদের আইনি অধিকারের।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৪/শফিক/শামসুল