সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতন ঘটলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেনের শেষদিকে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শেষ হওয়ার ৫০ মিনিট আগে তা পতনমুখী হয়ে যায়। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা পতনমুখী অবস্থায় ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৪.৫৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৭৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৫.৪১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৩১টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৮৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮.০৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৫২ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.২৭ পয়েন্ট কমে ৮৫৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪০.৯৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭৭টি কোম্পানির, কমেছে ৫৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
সিএসইতে ১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।