অর্থনীতি

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিজবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেনের শেষদিকে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে তা পতনমুখী হয়ে যায়। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা পতনমুখী অবস্থায় ছিল।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭.৪৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৯১ পয়েন্ট কমে ৯৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৬৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৪২টি কোম্পানির, কমেছে ১৫৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৩টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩০৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০.৪৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৩৯৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৫.৩৪ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.৯০ পয়েন্ট কমে ৮৫৩ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৭.৪৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৪৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৫টি কোম্পানির, কমেছে ৭৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টির।

সিএসইতে ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।