অর্থনীতি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ডিএসই ও সিএসইর গভীর শোক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে দেশের উভয় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আলাদা আলাদা বার্তায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ডিএসই ও সিএসই কর্তৃপক্ষ।

শোক বার্তায় ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, “তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ছিল সততা, নীতি, দায়িত্ববোধ ও জনকল্যাণের প্রতি অটল অঙ্গীকার। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় তিনি আজীবন লড়াই করে গেছেন এবং নীরব দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক কাঠামো সুদৃঢ়করণে তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন। তার ব্যক্তিত্বের সরলতা, মানবিকতা, সহনশীলতা ও দূরদৃষ্টি আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে৷”

ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত আনোয়ার শোক বার্তায় বলেন, “রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে তিনি সর্বদা চেষ্টা করেছেন দেশের ঐক্য, সম্প্রীতি ও অগ্রগতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে। রাজনীতির অস্থির সময়ে তার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব নানা সংকট উত্তরণের পথ দেখিয়েছে। দেশ ও জনগণের প্রতি তার নিবেদিত প্রাণ, সেবার কারণে তিনি মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন এবং থাকবেন।”

এদিকে বিবৃতিতে সিএসই জানায়, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর আমরা গভীর শোকাহত।”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ‘দেশনেত্রী’, ‘আপসহীন’ উপাধিতে ভূষিত বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বেগম খালেদা জিয়া লিভার, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস ও ইনফেকশনজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। চলতি বছর ৭ জানুয়ারি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি ঘটে। তিনি দেশে ফিরে আসেন। তবে বয়স প্রতিকূল থাকায় এবং নানাবিধ রোগের জটিলতার কারণে তিনি প্রায়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন।

সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর  এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই  চিকিৎসাধীন ছিলেন।