শিক্ষা

ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাবার টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার রাতে হল ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থী ও ক্যান্টিন বয়সহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ক্যান্টিনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে হল ক্যান্টিনে খেতে যান ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ গ্রুপের দুই কর্মী ফারুক ও নাহিদ। এ সময় ক্যান্টিনে খাচ্ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তুষার গ্রুপের কর্মী জামিল। ফারুক ও নাহিদ তাকে দ্রুত খাবার খেয়ে উঠার জন্য চাপ দেন। জামিল তাদের কথামত না উঠায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে রাত ৯টার দিকে হাফিজ গ্রুপের কর্মীরা ক্যান্টিনে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করেন। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ক্যান্টিন বয় মাসুদ ও মহসিনসহ ১৩ জন আহত হন। সাধারণ সম্পাদক তুষার গ্রুপের আহতরা হলেন- প্রথম বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শাহাদাত হোসেন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সজিব আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের ফখরুল হোসেন সোহাগ ও দ্বিতীয় বর্ষের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সুজন। সভাপতি হাফিজ গ্রুপের আহতরা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাহিদ ও রাকিব হোসেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সুলাইমান, দর্শন বিভাগের বিল্লাল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রুবেল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অটল ও আইন বিভাগের রিফাত হোসেন। এরা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ক্যান্টিন পরিচালক মোহাম্মাদ বাবুল মিয়া বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আমার ক্যান্টিন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ৬৫ থেকে ৭০টি প্লেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাতের সব খাবার নষ্ট হয়েছে। আমার অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে গেল। গত ১৭ বছরে এমন কাজ কেউ করেনি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, কিছুদিন আগে হলের টিভি রুম ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কারো বিচার হয়নি। এখন আবার ক্যান্টিন ভাঙচুর করা হলো। সিসিটিভি দেখে এর বিচার করা উচিৎ। হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি হলে ছিলাম না। খবর পেয়ে হলে আসি। পরে মেডিক্যালে আহতদের দেখতে গেছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, ‌‍‘হলে সামান্য বিষয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। আগের ঘটনার বিচার যাতে না হয় সে জন্য এমন হামলা চালানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে বিশ্বিবদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ‘যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর আগের ঘটনায় আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে বহিষ্কার করার জন্য নাম জমা দিয়েছি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এম আমজাদ আলী বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ হল প্রাধ্যক্ষ আফতাব উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৭/ইয়ামিন/উজ্জল