শিক্ষা

বৃহস্পতিবার টিএসসির সংস্কার করবে জবি ছাত্রলীগ

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজ করবে ছাত্রলীগ। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ও ব্যবহারের অনুপযোগী টিএসটির সৌন্দর্য বর্ধন করে ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যবহার উপযোগী করবেন তারা। ২০১৪ সালের মার্চে হল আন্দোলনের সময় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের বিপরীত দিকে পরিত্যক্ত জায়গায় টিএসসি ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে অব্যবস্থাপনার কারণে টিএসসির কার্যক্রম গড়ে ওঠেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে টিএসসির বিষয়টিও অর্ন্তভুক্ত ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ছাত্রলীগ নিজ উদ্যোগে কাজ শুরু করে। নেতারা টিএসসি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এরপরও টিএসসির স্থায়ী কোনো রূপ পায়নি। যত্রতত্র ময়লা পড়ে আছে। উঁচু-নিচু ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা বসার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সংস্কার কাজ করবে তারা। এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘উঁচু-নিচু ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গাতে ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাশ্রমে ইট ও বালু বিছিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সৌন্দর্য বর্ধন করে সাজানো গোছানো, পরিষ্কার পরিপাটি টিএসসি উপহার দেবে ছাত্রলীগ। অবাঞ্ছিত কোনো অবকাঠামো থাকবে না। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাহিদা মোতাবেক হালকা খাবারের দোকানেরও ব্যবস্থা থাকবে।’ সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল এই টিএসসি। এটিকে স্থায়ী রূপ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার টিএসসি সংস্কারের কাজ শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এখানে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীদের আড্ডাস্থল ও মিলনমেলায় পরিণত হবে এ টিএসসি। ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে অতীতের ন্যায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে। এদিকে টিএসসি সংস্কারের ছাত্রলীগের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে টিএসসি ঘোষণার করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন মহল এটাকে নিজেদের ব্যবসাস্থল হিসেবে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছেন। শিক্ষার্থীদের মনোভাব বুঝতে তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। নামমাত্র টিএসসি থাকলেও সেখানে কিছুই ছিল না। যত্রতত্র দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা ছিল।’ ছাত্রলীগের এই উদ্যোগে টিএসসি স্থায়ী রূপ পাবে এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্বপ্নের টিএসসি গড়ে ওঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ নভেম্বর ২০১৭/আশরাফুল/সাইফুল